জলকেলীতে মেতেছে তরুণ-তরুণীরা

Bandarban pic-1, 14.4
স্টাফ রিপোর্টার:
বৌদ্ধমূর্তি স্নানের পরপরই বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে। এরপর পরই তরুণ তরুণীরা জলকেলীতে মেতে উঠেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় রাজগুরু বৌদ্ধ মন্দির থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মাথায় বৌদ্ধমূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উজানীপাড়ার সাঙ্গু নদীর তীরে ধর্মদেশনা শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে চন্দন মিশ্রিত পানি দিয়ে বৌদ্ধমূর্তি স্নান করা হয়।

শোভাযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, ব্রিগেড কমান্ডার নকিব আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার দেবদাশ ভট্টাচার্য্যসহ বৌদ্ধধর্মালম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী সংগ্রাই উৎসবের মূল পর্ব জলকেলী। স্থানীয় পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে মারমা গোষ্ঠির পাশাপশি বাঙালী ও বিভিন্ন সম্প্রদায় এই উৎসবে মেতে উঠবে। ধর্ম দেশনা শ্রবণের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের এই উৎসবের ইতি টানা হবে।

অন্যদিকে, বিকালে স্থানীয় রাজার মাঠে চলে রশি টানাটানি, বালক বালিকাদের মোরগ লড়াই, বলি খেলা।  সকালে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য  মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি  শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সেখানে বর্ষবরণের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন এই উৎসবকে বিঝু, মারমারা সাংগ্রাই এবং ত্রিপুরারা বৈসু বা বৈসুক বলে। ত্রিপুরাদের বৈসুর (বৈ), মারমাদের সাংগ্রাইয়ের (সা) চাকমাদের বিঝুর (বি) থেকে পাহাড়ের এই উৎসবকে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি বলে অবহিত করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন