জেএসএস’র চাঁদাবাজির হুমকি: প্রতিবাদে বান্দরবানে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট

jamir Bandarban news 22.8.2

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানে চালকের উপর জেএসএস সন্ত্রাসীদের হামলা ও অব্যাহত চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে অভ্যন্তরীন সড়কে অনির্দিষ্টকালের অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র পরিবহণ ধর্মঘট শরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে জেলা অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র মালিক সমিতি বিক্ষোভ সমাবেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।

সূত্র জানায়, সোমবার সকালে জেএসএস’র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবীতে সদর উপজেলার হেডম্যান পাড়ায় মাহেন্দ্র গাড়ী আটক করে সন্ত্রাসীরা চালক মো. রাসেলকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। পরে সন্ত্রাসীরা অপহরণে ব্যর্থ হয়ে চালককে পিটিয়ে আহত করে করে এবং গাড়িটি আটকে রেখে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শহরের ট্রাফিক মোড়ে রাস্তার মাঝখানে ২০/৩০টি গাড়ী আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

পরে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র মালিক শ্রমিক সমিতির জেলা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুবেল, শ্রমিক নেতা আবু তাহের’সহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশের পর জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দেয় শ্রমিকরা।

জেলা অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র মালিক শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পাহাড়ের  দুর্গমাঞ্চলে অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র পরিবহনগুলো যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু উপজাতী আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস এ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দাবি অনুযায়ী চলতি বছরের চাঁদা না দেয়ায় গাড়ী আটকে রেখে শ্রমিকদের নির্যাতন করছেন। বাৎসরিক প্রতিটি গাড়ী থেকে জেএসএসকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে টোকেন না নিলে গাড়ীগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ে জেএসএস’র চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের আটক না করা পর্যন্ত বান্দরবানের অভ্যান্তরীন সবগুলো সড়কে অনিদিষ্টকালের জন্য অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র পরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র পরিবহণ ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে পর্যটক ও দূর্গম পাড়ার পাহাড়ী জনসাধারণ। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা অটো টেক্সি-মাহেন্দ্র। তাই এব্যাপারে শীঘ্রই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে জনগণের দূর্ভোগ লাঘব চান স্থানীয়রা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন