বান্দরবান জেলায় কর্মরত ৩ এনজিও’র কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে বীর বাহাদুরের নির্দেশ

জমির উদ্দিন :

বান্দরবানে এনজিও কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) বীর বাহাদুর উশৈসিং অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এ অসন্তোষের কথা জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে বান্দরবানে কর্মকান্ড পরিচালনাকারী এনজিওগুলোর কার্যক্রম তাঁর নজরে আসা দরকার। কিন্তু এনজিওগুলো কোনো সমন্বয় না করে, কোনো তথ্য না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যা জেলার উন্নয়ন কার্যক্রমে সুফল আনছে না। তিনি বান্দরবানে কর্মরত তিনটি এনজিওর কার্যক্রম নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানান এবং তাদের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবুর রহমান, বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক ওসামন গণিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবানে কর্মরত এনজিও হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশন, কারিতাস ও গ্রাউসের কার্যক্রম বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে, তারা জেলার কি কার্যক্রম করছে তা খোলাসা হওয়া দরকার। তাদের কার্যক্রমে সমালোচনা বেশি হচ্ছে। সম্প্রতি কারিতারের সিঁড়ি প্রকল্পের ৩২ কোটি টাকার কাজের অনিয়মের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বীর বাহাদুর বলেন, কোনো কার্যক্রম করা হয় জেলার উন্নয়নের জন্য, যদি উন্নয়ন কার্যক্রমের নামে অর্থ এনে তা জনকল্যাণে ব্যয় না করে নিজেরাই আত্মসাৎ করে তা মেনে নেওয়া যায় না।

অপরদিকে হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণের অনিয়ম প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উক্ত সংগঠন নাকি বান্দরবানে এক লাখ ২০ হাজার চারা বিতরণ করেছে। যদি একটি সংগঠনই এতোগুলো চারা বিতরণ করে তাহলে বান্দরবানে বনায়নে ভরে যেত। তিনি এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিনামূল্যে চারা এনে এনজিওটি নিজেরাই বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করেছে। অথচ থানচি উপজেলার চারা বিতরণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন না, তা হতে পারে না। তিনি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এছাড়া গ্রাউস কর্তৃক ভূমি দখলের বিষয়ে বীর বাহাদুর বিস্তারিত খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন