টেকনাফে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে উলঙ্গ করে মরিচের গুড়ো ঢেলে নির্যাতন

teknaf news & pic 16-7-14

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফে স্বামীর পরকিয়ায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে দা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত শরীরের সর্বাঙ্গে মরিচের গুড়ো ঢেলে মালিশ করে বিভৎস নির্যাতন চালায় এক স্বামী। ১৬ জুলাই রাতে অত্যাচারের জিম্মি অবস্থা থেকে অজ্ঞান মহিলাকে উদ্ধার করে টেকনাফ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির এএসআই জয়নাল। তবে হামলাকারী কাউকে আটক করতে পারেনি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মধ্যম কানজর পাড়া এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের বোন নুরজাহান জানান- তার বোন মৃত হাজী আবদুল আজিজের মেয়ে আজিমুন্নাহার (২৬) এর সাথে কানজর পাড়া এলাকার আবু দয়ানের পুত্র নাবুল উদ্দীন জিয়ার সাথে কয়েক বছর পুর্বে বিবাহ হয় । পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে অসহায় হয়ে এতিম জীবন যাপন করছি। এ ফাঁকে জিয়া আমার বোনের কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে। তার চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বিভিন্ন সময়ে অমানুষিক নির্যাতন করে আসছিল। আমাদের অভিভাবক প্রভাবশালী কেউ না থাকায় এক পর্যায়ে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে মাত্রারিক্ত নির্যাতন শুরু করে জিয়া । হঠাৎ করে অবৈধ পরকিয়া সম্পর্কের মেয়েটিকে বাড়ীতে আনে, এতে বাঁধা প্রদান করায় তাকে বেদড়ক মারপিঠ ও বিবস্ত্র করে দা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত শরীরে সর্বাঙ্গে বাটা মরিচ মালিশ করে বাড়ীতে ফেলে রাখে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে জিয়ার পরিবারের ৭/৮ জন আমাদের উপর হামলা করে। পরে পুলিশ দিয়ে বিবস্ত্র ও অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। নুর জাহানের দাবী আমার বোনকে তারা হত্যা করে লাশ গোপন করার চেষ্টা চালিয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আহতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাত সাড়ে ১২ টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ককসবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে আইয়্যামে জাহিল্যিয়াতের ন্যায় নরপশু জিয়ার সম্প্রতি ইয়াবা ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তার দাপটে এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলতে সাহস করছেনা বলে জানা যায়। তার অমানুষিক নির্যাতন ও পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় এরকম কেউ না থাকায় জিয়া লাগামহীনভাবে বিভৎস নির্যাতনের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। তার বিরুদ্ধে এ জঘন্য ঘটনায়ও মামলা বা বিচার পাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ করছেন অনেকে। এসব জাহেলদের আইনের হাতে সোপর্দ করে সঠিক বিচার দাবী করছেন এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন