থানচিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

WOOD NEWS 3

থানচি প্রতিনিধি:

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ও থানছি থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে গত দুইদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত মোট ১২শত ঘনফুট কাঠ অবৈধ ঘোষণা করে এর মালিকসহ এর সাথে জড়িতদেরকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জব্দকৃত কাঠের শুনানি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাঁর কার্যালয়ে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আদালতের শুনানি ঘোষণা করেন।

এ সময় থানছি থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, আওয়ামী লীগের, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের আজীবন প্রতিনিধি মংথোয়াইম্যা মারমা (রনি), মিবক্ষ্যা রেজ্ঞ কর্মকর্তা হারুনর রশিদ, সহকারি রেজ্ঞ অফিসার ফজলুল হক, থানছি রেজ্ঞ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,

শুনানির সময় জোত মালিকানা ও ক্রয়ের সূত্রে মালিকানা দাবি করে বৈধ কাগজ জমাদান করেন জামাল সওদাগর, জুলফিকার আলী, মোহাম্মদ আবুল বশর, নুরুল হাকিম সওদাগরের ভাগিনা সৈয়দ নূর, লোকমান সওদাগর উপস্থিত ছিলেন।

ফলোআপ

শুনানিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অবৈধ কাঠ পরিবহনকারী অবৈধ ট্রাক লট নং ১৫ কে ৫ হাজার, জোত নং ৮৮, ১৪, ১৫ এর ক্রয়ের মালিক সৈয়দ নূরকে ১০ হাজার, জোত নং ৭৬ এর ক্রয়ের মালিক জুলফিকার আলীকে ২০ হাজার টাকা, জব্দকৃত ট্রাকে রাত্রে ঘুমানো অপরাধে আবুল হোসেন ও আবদুল মানানকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার সর্বমোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, মানধাতা সময়ের রেজিস্টারসহ বিভিন্নভবে সহযোগিতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন থেকে বন বিভাগের বৈধ কাগজের আড়ালে অবৈধ পন্থা অবলম্বনকরে সরকারি ভাবে সংরক্ষিত বন থেকে মূল্যবান কাঠ কেটে আসছিল। ফলে বৈধ কাগজ পত্র চেয়ে অবৈধ পন্থা পাচার হওয়ার সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

উল্লেখ্য, গত ৭ ও ৮ ই ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমান আদলত অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৩ হাজার টুকরো মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতের কাঠ থানছি উপজেলা বাস স্টেশন সংলগ্ন, সাংগু সেতুর নিচে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে জব্দ করেন। জব্দকৃত কাঠ গুলি সরকারি কোষাগারে জমানো পরে আইনানু ব্যবরোস্থা গ্রহণ করবেন বলে থানছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় সূত্রে বলেছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন