নিষিদ্ধ পপিচাষ দিন দিন বাড়ছে

থানচিতে ৩০ একর জমি পপিক্ষেত পুড়াল বিজিবি

বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীন অরণ্যে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বাণিজ্যিকভাবে পপি চাষের ঝুঁকি নিয়েছে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা। আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীদের চোখের আড়ালে থাকলেও এবারে গহীন অরণ্যে ৩০ একর পাহাড়ি জমিতে পপিক্ষেত পুড়িয়ে দিয়েছে বিজিবি। গোয়েন্দা সংস্থাদের এমন সংবাদে ভিত্তিতে উপজেলা তিন্দু ইউনিয়নের এলাকা গভীর অরণ্যে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পপিক্ষেত ধ্বংস করে তারা।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম, পিএসসি; টেন্ডুমুখ বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. ইনয়ামুল হকের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের বিজিবি জোয়ানরা তিন্দু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে কাইকা খুমি পাড়া এলাকায় অনুমানিক ৩০ একর জুড়ে পাহাড়ি জমিতে পপি চাষের সন্ধান পায়। বিজিবি টহলের টের পেয়ে পপি চাষীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করার সম্ভব হয় নি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতের এ সকল পপিক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করতে সক্ষম হন তারা। কাইকা খুমি পাড়া তিন্দুমুখ বিজিবি ক্যাম্প থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণের অবস্থান।

উল্লেখ্য, পুড়িয়ে ধ্বংসকৃত পপি প্রক্রিয়াজাত করণের পর ৫টি টিলায় আনুমানিক ৩০ একর পপিক্ষেত স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বলে দাবি করেন। বর্ণিত এলাকায় আরও পপিক্ষেত আছে কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। টহলদল পপিক্ষেত ধ্বংস শেষে জনবল, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে টেন্ডুমুখ বিজিবি ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন করে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: থানচি, পপিক্ষেত, বিজিবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন