দীঘিনালায় বীর নিবাস পাচ্ছেন স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা: সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

fec-image

দীঘিনালায় ‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অনুকূলে স্বচ্ছল এবং বিত্তশালী ধনী ব্যক্তিরা আবাসন বরাদ্দ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) স্বচ্ছল বিত্তশালী ধনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি ‘বীর নিবাস’ বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দ প্রদানের দাবিতে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগটি প্রকাশ্যে আনেন দীঘিনালার অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দীঘিনালার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. এরশাদ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. জহিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. মহসিন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জুলেখা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জাহানারা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সালেহা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে এরশাদ বলেন, দীঘিনালায় স্থায়ীভাবে মোট ৫২ টি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বসবাস করে। এর মধ্যে বেসামরিক গেজেটে ৩৮ জন, সেনাবাহিনী গেজেটে ১ জন, বিসিএস গেজেটে ১ জন, এখানে বসবাস করেন কিন্তু তাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঠিকানা হতে সম্মানি ভাতা ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন এমন রয়েছে আরও ১২ জন।

অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দীঘিনালায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫টি বীর নিবাস বাড়ি করার জন্য প্রশাসনিক আদেশ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অতি দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই ৫টি বীর নিবাস যাদের নামে বরাদ্দ হয়ে এসেছে তাদের ৪ জনই যথাক্রমে (১/ মো. আব্দুল মান্নান গাজী- পিতা: মৃত করিম গাজী, ২/ মো. আ: আজিজ, পিতা মৃত আ: রাজ্জাক, ৩/ মো. আব্দুল মোতালেব, পিতা- মৃত আব্দুস সাত্তার, ৪/ মো. মোসলেম উদ্দিন, পিতা- মৃত ইয়াজ উদ্দিন) স্বচ্ছল ও ধনী বিত্তশালী ব্যক্তি। এই ৪ জনের মধ্যে আবার ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতারণা করে লাল মুক্তিবার্তা নাম্বার ব্যবহার করে বরাদ্দ এনেছেন। মূলত তাদের কোন লাল মুক্তিবার্তা নেই। তারা তাদের লাল মুক্তিবার্তা নাম্বার কখনো দেখাতে পারবেনা।

তিনি আরও বলেন, গত ৩০ মে ২০২২ তারিখে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে যে ৫টি ঘর বরাদ্দ এসেছে এর মধ্যে ৪ জনের নামে গত ১২ জুন ২০২২ তারিখে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমরা আপিলের কোন ফিডব্যাক পাইনি।

এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মূলে প্রকৃত অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বীর নিবাস বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান সাংবাদিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ, দীঘিনালা, বীর নিবাস
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন