দুই সহোদর মিলেই হত্যা করে মাটিরাঙ্গার এনামুল দম্পতিকে

02.06.2016_Matiranga Murder NEWS Pic

সিনিয়র রিপোর্টার:

মো. আবু তালেব ও মো. আবু দাউদ এ দুই ভাই মিলেই খাগড়াছড়ি’র মাটিরাঙ্গায় মো. এনামুল হক ও পারভীন আক্তার দম্পতিকে হত্যা করেছে। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে আটক মো. নফিদুল আলম।

হত্যাকাণ্ডের সময় পার্শ্ববর্তী টিলা থেকে হত্যার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে উল্লেখ করে নফিদুল জানায় মো. আবু তালেব প্রথমে মো. এনামুল হকের মাথায় কোপ দেয়। এ সময় তার স্ত্রী পারভীন আকতার চিৎকার করে উঠলে তাকেও কোপ দেয়। এ সময় তাদের দুজনেরই মৃত্যু নিশ্চিত হলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এসময় খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম সালাহ উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) কাজী মো. হুমায়ূন রশীদ ও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো উপস্থিত ছিলেন।

মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, ঘটনার আগের দিন সকালে মামার মো. আবু তালেব‘র নির্দেশেই মাটিরাঙ্গা বাজার থেকে ধারালো দা কিনে আনে আটক নফিদুল। পরে সেই ধারালো দা দিয়েই ২৮ জুন মঙ্গলবার বিকালে মো. আবু তালেব ও মো. আবু দাঊদ দুই ভাই মিলে বেলছড়ি ইউনিয়নের মরা তাইফা এলাকার মকবুলের লেকে মো. এনামুল দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যা করে।

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম সালাহউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. এনামুল হক ও মো. আবু তালেব অন্যের জায়গা-জমি দেখাশুনা করতো। এতে তাদের উপার্জন ছিলো অনেক। মূলত, পুরো এলাকা একা নিয়ন্ত্রণের লোভ থেকেই মো. আবু তালেব এনামুল দম্পতিকে হত্যা করে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন বিকেলে নিজের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দুরের নিজের ইজারা নেয়া লেকে মাছ ধরতে ও পাশের টিলা থেকে লাকড়ি আনতে যান মো. এনামুল হক ও তার স্ত্রী পারভীন আকতার। বিকাল গড়িয়ে রাত হলেও তারা কেউই সেদিন বাড়িতে ফিরেননি। ২৯ জুন সকালে ঘুম ভেঙ্গেও মা-বাবাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশী এক সহপাঠিকে নিয়ে লেকের পাড়ে গিয়ে মা-বাবার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে সে ফিরে এসে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ঘটনার পরপরই মো. আবু তালেব (৬৫) ও ভাগিনা নফিদুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে মো. আবু দাউদ (৬০) কেও আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে আবু তালেব জাল টাকা তৈরীর মেশিনসহ জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ১৪ বছরের সাজা ভোগ করেছে। এছাড়া সে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন