দেড় যুগ পর গর্জনিয়া, থিমছড়ি, বাইশারী সড়কের কাজ শুরু

fec-image

অবশেষে স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলল দুই জেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। দীর্ঘ দেড় যুগ পর হলে ও গর্জনিয়া, থীমছড়ি, বাইশারী সড়কের কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ছে। দীর্ঘ কাল যাবত শুকনো মৌসুমে কোন রকম গাড়ী যোগাযোগ থাকলে ও বর্ষা মৌসুমে উক্ত সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়া পর্যন্ত কঠিন হয়ে দাড়াত।

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক লোকজনের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম গর্জনিয়া, থীমছড়ি, বাইশারী সড়কটি। রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া , ও ঈদগড় ইউনিয়নের একমাত্র সড়কটির কারনে এই ইউনিয়ন গুলুর লোকজন সব দিক থেকে পেছনে রয়েছে। বর্তমানে রাস্তার উন্নয়নের কাজ শুরু হওয়ায় লক্ষাধিক মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।

থীমছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী আরাফাত, শাহ আলম, নুরুল ইসলাম সহ অনেক জানান বর্ষার আগে যদি কাজ সম্পন্ন না হয় আবারও চরম দুর্ভোগের শিকার হবে। তাই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য দাবী তুলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এ জাহের লিটন ট্রেডার্স দীর্ঘ সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের কাজটি করে যাচ্ছেন। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সৈয়দুল হক জানান, কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে যত দ্রুত সম্ভব শুকনো মৌসুমেই কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করে যাব। তিনি আরও বলেন, গত একমাস যাবত আমরা কাজ শুরু করেছি প্রায় ৩ কিলোমিটার কাজ একাংশের মত তৈরী হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মেয়াদ কালের ভেতরে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার জানান, মাননীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয়ের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে আজ গর্জনিয়া, বাইশারী সড়কের কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ছে। এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতায় শুধু সড়ক নয় ব্রীজ, কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আরও উন্নয়ন কাজ এলাকায় হবে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচল রয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার সড়কটি মেরামত না করায় জনসাধারণের দুর্ভোগ ছিল চরমভাবে। উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করতে না পেরে অনেক সময় ন্যায্য মুল্যে থেকে বঞ্চিত হত। বর্তমানে সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় লক্ষাধিক মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলজিইডি (রামু) আলাউদ্দিন এর নিকট কাজের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব সড়কের কাজ শেষ করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কাজের সিডিউল অনুযায়ী গুনগতমান ঠিক রেখে কাজ বুঝে নেওয়া হবে। নো কম্প্রোমাইজ নীতিতে কাজ চলবে। কোন ধরনের অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবেনা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন