নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ যুবক অপহরণ, ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

fec-image

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ২ যুবককে অপহরণ করার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে । অপহরণকারীরা ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। এ ঘটনায় অপহৃত পরিবারে নেমে আসে চরম অশান্তি ও হতাশা। ঘটনাটি ঘটেছে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের আদর্শ গ্রাম এলাকায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ জানান, নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে আদর্শ গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আবদুর রহিম বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানায়। যার নম্বর-৩৮৪।

এতে বাদী আবদুর রহিম বলেন, তার ভাই নেজাম উদ্দিন গত ৪ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ টান্টু সাহা এ প্রতিবেদককে বলেন,তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে অপহরণ হওয়া নিজামুদ্দিনের পিতা আবদুর রহমান বলেন, তিনি তার ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা। অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে ফোনে । বিকাশ নাম্বারও দিয়েছে। টাকা না দিলে নিজামুদ্দিনের বড় ধরণের ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে অপহরণকারীরা।

তিনি আরও জানান,অপহরণকারীরা গত ২ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লম্বা শিয়ার রোহিঙ্গা বস্তি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি এসে ২/১ দিন ঘুরাঘুরি করে। এসময় তারা রাত যাপন করে আদর্শগ্রামের মনোয়ারা বেগম নামের এক নারীর বাড়িতে। মনোয়ারা বেগম তাদের ১ জনকে নিজের খালাতো ভাই পরিচয় দিয়ে আসছিলো লোকজনের কাছে। এ খালাতো ভাইয়ের নাম মোহাম্মদ হানিফ।

কান্না জড়িত কন্ঠে ভুক্তভোগির পিতা আবদুর রহমান বলেন, কিন্তু তার ছেলের মোবাইল বন্ধ পায় তারা। পরে সোমবার( ৭ আগষ্ট) দুপুরের দিকে জানতে পারে তার ছেলে অপহরণ হয়েছে। আর তাকে ছাড়িয়ে আনতে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। যাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। এ জন্যে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো ফখরুল ইসলাম বলেন, তিনি এ বিষয়ে একাধিক বার নিজামুদ্দিনের বাড়িতে গিয়েছেন। তার সন্ধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ, দাবি, নাইক্ষ্যংছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন