পেকুয়ার শিলখালীতে ১৫ দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফাঁকাগুলি বর্ষণ : জনমনে চরম আতংক

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া : 

পেকুয়ার শিলখালীতে ১৫ দিন ধরে ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করায় সাধারণ লোকজনের মাঝে চরম ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহেদ মেম্বার সাধারণ লোকজনের নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতেই অস্ত্রধারীরা সন্ত্রাসী মেম্বারের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিলখালী ইউনিয়নের সিকাদার পাড়া এলাকা ও বাইন্যামুড়া সংযোগ সড়কের ওয়াপদার বেড়িবাধের কালুরবাপের প্যারার সামনে বিগত ১৫দিন যাবত সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় মৃত গোলাম কবিরের ছেলে নজরুল, সাইফুল, আতিক,বেলাল, বারবাকিয়া ভারোয়াখালীর নজু ও চকরিয়ার পহরচাদা গুবিন্দপুর এলাকার বোরহান সহ ৬/৭জন স্বশস্ত্র অবস্থান নিয়ে প্রতি রাতেই মহড়া দিয়ে মাঝে মাঝে ফাকাগুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, কেন তারা সেখানে প্রতিনিয়ত অবস্থান নিয়ে ফাকাগুলি বর্ষণ করতো এতদিন অজানা থাকলেও ২৮ অক্টোবর শিলখালী ১নং ওয়ার্ড় সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম শদুর ওপর আচমকা হামলা আর ৩১ অক্টোবর দিবগারাত সাড়ে ১২টার দিকে বর্তমান মেম্বার জাহেদের ওপর পুলিশের উপস্থিতে হামলা করাতে তা পরিস্কার হয়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজন আরো বলেন, স্বশস্ত্র অবস্থানকারীদের সাথে বেড়িবাধের বাইরের একটির মালিকানা বিরুধের জের ধরে লোকমান ও আনোয়ার হোছাইনের বসতঘর দখল নিতে ও তৎসংলগ্ন একটি জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা সেখানে অবস্থান করলে বারবাকিয়া বাজার থেকে ওই পথ দিয়ে চলাচলকারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের সহোযীতা চাইলে ওই জনপ্রতিনিধিদের ওপরও হামলা করেছে।

স্থানীয় মেম্বার জাহেদের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত মাস দেড়েক যাবত তিন রাস্তার এ মোড়ে সন্ধ্যার পর ৭/৮জন লোকজ সশস্ত্র অবস্থান নেয়ায় পথচারীরা অভিযোগ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানার ওসিকে মোবাইলে কয়েকবার অবগত করি। সর্বশেষ ৩১অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে পর পর দু’রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করলে স্থানীয় লোকজনসহ আতংকিত হয়ে আমাকে ফোন করলে আমি ঘটনাস্থলের পাশাপাশি গিয়ে সশস্ত্র লোকজনের অবস্থান দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পেকুয়া থানার এ.এস.আই জাফর ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে অস্ত্রধারী লোকেরা কেটে পরে। একপর্যায়ে এক প্রভাবশালী নেতার পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে পুলিশকে ওই নেতার সাথে কথা বলতে বলে এসময় অকথ্যভাষায় গালাগাল করে আমার বড় ভাই জাকারিয়ার ওপর হামলা করে আমি তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও হামলা করে বসে পরে দা কিরিচ নিয়ে আরো কিছু সন্ত্রাসী পুলিশের সামনেই হামলা শুরু করে। এসময় পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। তিনি আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত ওই অস্ত্রধারীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করে এলাকায় মহড়া দিয়ে যাচ্ছে।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার এ.এস.আই জাফর আলমের কাছে জাানতে চাইলে তিনি স্থানীয় মেম্বারের দেয়া সংবাদে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় গোলাম কবিরের ছেলেরা বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে ওই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে মহড়া দিচ্ছে বলে শুনেছেন উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যে পথচারী ও সাবেক মেম্বার শদুর ওপর হামলা করেছে বলেও জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন