পেকুয়ায় কলেজশিক্ষক হত্যা মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি এখনো!
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তরমেহেরনামা আবদুল হামিদ সিকদারপাড়া এলাকায় ফরহাদ উদ্দিন(২৬) নামের এক কলেজ শিক্ষককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পেকুয়া থানা পুলিশ। নিহত কলেজ শিক্ষকের পিতা মাস্টার ইউনুছ বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা রেকর্ড করেন। মামলার আসামী করা হয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ছালেহ জঙ্গী ছোটনসহ কয়েকজনকে। যার মামলা নং-০৮, তারিখ: ০৮-০৫-১৫।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, প্রধান আসামী ছোটনের স্ত্রী লিপি আক্তার, তার শাশুড় নুরুল আবছার, শাহেদা বেগম, আফরোজ সোলতানা, মৌলভী নুর আহমদের পুত্র সিরাজুল মোস্তফা।
জানা যায়, গত ৬ মে বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে ফরহাদ উদ্দিন কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসছিলেন। বসতবাড়ির সামনে রাস্তার উপর প্রথমে তার জেঠাত ভাই সন্ত্রাসী ছালেহ জঙ্গীর ছোটন ও ফরহাদের সাথে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছালেহ জঙ্গী ছোটন ফরহাদ উদ্দিনকে কিরিচ দিয়ে কোপাতে চাইলে তার বোন প্রাইমারি শিক্ষিকা নাফিসা নুর দীনা এগিয়ে তাকে রক্ষা করে। এসময় ফরহাদের বোন নাফিনা নুর দীনা কিরিচের আঘাতে গুরুতর আহত হয়।
পরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় মাওলানা নুর আহমদের পুত্র ছালেহ জঙ্গী প্রকাশ ছোটন বাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এসে ফরহাদ উদ্দিনকে পেছন থেকে গুলি করে। এ সময় ফরহাদ উদ্দিন মাটিতে লুটে পড়ে। ঘটনাস্থলে সে প্রাণ হারায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে তার আত্মীয় স্বজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ফরহাদের দেহের কলিজা বের হতে দেখা যায়। বসতবাড়ির সামনে রাস্তার উপর তাকে গুলি করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়।
ঘটনার সাথে অভিযুক্ত ছালেহ জঙ্গী ছোটন এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কয়েক মামলার পলাতক আসামী। ওই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ফরহাদকে গুলি করে মুহুর্তের মধ্যে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে নিহত ফরহাদ চট্রগ্রাম কলেজ থেকে গণিত বিষয়ের উপর অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে চট্রগ্রামের সারমন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত ছিল। সে কিছুদিনের মধ্যে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঘটনার দিন বিয়ের কাজে বাড়িতে আসছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিবকে জানালে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব জানান, আসামী ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।