পেকুয়ায় বেড়িবাঁধের উপর নাশি স্থাপন নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে গুলাগুলি

নিজস্ব প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন বেড়ীবাঁধের উপর নাশি স্থাপনকে কেন্দ্র করে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় পক্ষে বিপক্ষে গুলাগুলির ঘটনা ও ঘটে।

জানা যায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী এলাকায় সদর ইউনিয়নের মৌসুমী ধানের চাষাবাধের সুবিধার্থে জমির মালিকরা পেকুয়া বিস্তৃর্ন বেড়ীবাঁধের একটি অংশের উপর নাশি স্থাপন করেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে স্থানীয় কিছু পরধন লোভী ব্যক্তি অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হয়ে নাশি স্থাপনকালে উদ্যোক্তাদের বাধা প্রধান করার চেষ্টা চালায়।

এনিয়ে দেখা দেয় পক্ষ-বিপক্ষ উভয়য়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা আর মুখোমূখী অবস্থান। খবর পেয়ে সদর ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসন নুরু ও সাজ্জাদ হোসেন এলাকার আইন শংখলা স্বাভাবিক রাখতে পেকুয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পেকুয়া অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভূইয়া নির্দেশে এসআই বিমল কান্তি নাথ একদল পুলিশ ও বিশেষ আনচার বাহিনীর একটি দল গঠনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত করেন।

এব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা জানান চলতি বর্ষার মৌসুমের আগে পেকুয়ার বিধ্বস্ত বেড়ী বাঁধ সংষ্কার করা না হলে চাষাবাধ অনিশ্চিত হবে। তাই বর্ষার শুরুর আগেই নি¤œ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য নাশি স্থাপনে উদ্যোগ নেয় কৃষক ও জমির মালিকরা । কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কয়েকটি জামে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে অহিদুল আলম চৌধুরী, আমিরুল খালেদ ও আরমানুল ইসলাম উস্কানী মুলক অপপ্রচার চালিয়ে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জনবল জড়ো করে। তাদের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী ও লাঠিয়াল বাহিনী ওই নাশি স্থাপনকৃত বেড়ীবাঁধ এলাকায় গিয়ে শ্রমিকদের বাঁধা প্রদান ও অতর্কিত হামলার চেষ্টা চালায়, এতে দেখা দেয় উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা।

এদিকে অস্ত্রধারীরা দুটি ফাঁকা গুলি বর্ষন করে এলাকায় আতংক ছড়ায়। গঠনাস্থলে পুলিশ পৌচলে অস্ত্রধারীরা গা ডাকা দেয়। স্থানীয় কৃষক আব্দু রহীম বলেন একদিকে এলাকার ফসলী জমিতে প্রতিবছর রূপাই খালের লবনাক্ত পানি অবাধে প্রবেশ করে চাষকৃত জমিতে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অন্য দিকে বর্ষার মৌসুমে টানা বর্ষনের ফলে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আমন,আউষ, বোরো চাষের পর্যাপ্ত ফলন ফলাতে কৃষকরা ব্যার্থ হয়। আর লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় কৃষকদের। ফলে বর্ষা শুরুর আগেই এবারের মতো আমরা কৃষক ও জমির মালিকরা পানি নিষ্কাশনের জন্য এই মহৎ উদ্যোগ হাতে নিই।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খাঁন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নাশি স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আমি পরে অবগত হয়েছি। বুধবার দুপুর ১২টায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় দুজন ইউপি সদস্য আমাকে খবর জানায়। আমি তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন