পেকুয়ায় রাতের আধারে গণকবর খনন, এলাকা জুড়ে আতঙ্ক
এ.এম.জুবাইদ,পেকুয়া :
পেকুয়ায় রাতের আধারে ৩০ টি কবর খনন করার ঘটনা নিয়ে এলাকা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। জানা যায় গত ১৩ নভেম্বর রাতে রাজাখালী ইউনিয়নের বামূলা পাড়া এলাকায় ৬টি, মৌলভী পাড়া এলাকায় ৪টি, চরিপাড়া এলাকায় ৪টি, ইউপি ভবনের সামনে ৪টি, সুন্দরীপাড়া এলাকায় ৬টি, ভোলা খালের চরে ৮টি কবর খনন করে দুবৃর্ত্তরা।
কবরগুলো গভীরতা বেশি। কবরের পাশে একটি খুটিতে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা বাবুল সিকদারকে উদ্দ্যেশ করে একটি চিরকুট লিখে টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। এভাবে সবগুলো কবরের পাশে বিভিন্ন জনের নামে চিরকুট লিখে দেয়। চিরকুটে লেখা আছে সম্মানিত গরীব দু:খী মেহনতি মানুষকে সালাম দিয়ে লেখা শুরু করে এক দু:খের বিষয় বলতেছি যদি বাঁচার মত বাচতে চাও বাবুল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এ এষ্টেটের কোন ধরণের লবণ মাঠ বাবদ লেনদেন করবেন না। যদি লেনদেন করে থাকো তাহলে কি হবে জানি না। তোমরা আমাদের গরীব ভাই। না হয় লাল কলমের লেখার মত লাল হবেন।
স্থানীয় সূত্রে জনান রাজাখালী এলাকার জমিদার মসজিদের ওয়াকফ এষ্টেটের লবণের মাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমিদার পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্ব চলছে। উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু দিন আগে জমি দখল করার জন্য অস্ত্রের মহাড়া দিয়ে এলাকায় সাধারণ লোকজনের মাঝে আতংক সৃষ্টি করছিল। তাই এখন কবর খনন করে নতুন আতংকের মাত্রা বৃদ্ধি করছে। কবর খননের বিষয়টি নিয়ে পুরো রাজাখালী এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি এলাকায় নেই। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি মাঈন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এসব বিষয় সম্পর্কে আমি জানি না। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।