পেকুয়ায় রাতে বসতবাড়ি দখল, গুলিবিদ্ধসহ আহত-৪

পেকুয়া প্রতিনিধি:  
পেকুয়ায় জায়গা বিরোধের জের ধরে রাতে বসতবাড়ি দখলে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ সময় এক পক্ষের ছোড়া গুলিতে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ভোর রাতে বসতবাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অপর পক্ষের মহিলাসহ ৩জন আহত হয়েছেন। পেকুয়া থানার পুলিশ দু’দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

গুলিবিদ্ধ মোজাফ্ফর আহমদ(৫০)রাজাখালী ইউনিয়নের উলুদিয়া পাড়া এলাকার মৃত.বশির আহমদের পুত্র। অপর পক্ষের আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত আফজল করিমের স্ত্রী রাশেদা বেগম(৭০), তার মেয়ে বসতবাড়ির গৃহবধূ জীবন আক্তার (২৫) ও স্বামী মোঃ আলম(৩০)। গুলিবিদ্ধ মোজাফ্ফর আহমদকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ এপ্রিল শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের উলুদিয়া পাড়া গ্রামে। ঘটনার জের ধরে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। উক্ত ঘটনা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। বসতির মালিক জীবন আক্তার পক্ষের দাবি গভীর রাতে তাদের বসত ভিটা জবর-দখলে নিতে মোজাফ্ফর গং শাহাজাহান, রিদুওয়ান, আলমসহ বদি উদ্দিন পাড়া থেকে ভাড়াটে লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এমনকি সন্ত্রাসীরা গৃহবধূ জীবন আক্তারকে বিবস্ত্র করে শ্লীনতাহানির চেষ্টাও চালায়। এতে স্বামীসহ তারা আহত হয়েছেন।

এছাড়া মোজাফ্ফর মামলা সাজাতে নিজেই পায়ে আঘাত করেন বলে জানান। অপরদিকে মোজাফ্ফর গংদের পক্ষে তার মা মেহেরজান জানিয়েছেন তাদের খরিদা স্বত্তের দীর্ঘ দিনের বসতভিটা দখলে নিতে মোঃ আলম এর নেতৃত্বে মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা ভোর রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে গুলি চালিয়ে মোজাফ্ফরকে আহত করে।

তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ১০শতক বসতভিটার জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। ওই জায়গা পৈত্রিক সম্পত্তিতে জীবন আক্তার স্বামীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ওই দিন ঘুমন্ত অবস্থায় মোজাফ্ফর গং ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে দখলে নেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, বসতি মূলত জীবন আক্তারের। স্বামী নিয়ে বাপের ভিটায় বিয়ের পর থেকে বসবাস করে আসছেন। মোজাফ্ফর গং রাতের আধারে বেআইনী জনতা গঠন করে জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি আবদুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এখনো কেউ অভিযোগ দেননি। যেহেতু গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাই পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন