পেকুয়ায় শিবির-যুবলীগ-জাপা ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :
পেকুয়ায় শিবির-যুবলীগ-জাপার মধ্যে ত্রি-মুখী সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১১ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক ৭/৮ জন অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে থানায় নাশকতা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায় গত ২৪ নভেম্বর রাতে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে এস আই সুমন চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি (প্রশাসন) জিয়া মো: মোস্তাফিজ ভুইয়া মামলাটি রেকর্ড করেন। যার নং ১৬।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন বিকালে বাদী থানায় ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজি¦র বাজার এলাকায় মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজি¦র বাজার মসজিদ থেকে একদল জামাত-শিবির নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে দোকান ভাংচুর করে। আর এ মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেকুয়া থানার এস আই ওমর ফারুককে।

মামলার আসামী করা হয় পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মনজু, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ও টইটং বাজারপাড়ার এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র ডা: নুরুল কবির, উপজেলা শিবির সভাপতি উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ার এলাকার মতিউর রহমানের পুত্র মুফিজুর রহমান, টইটং জানআলীমুরা বারী কামালের পুত্র এমরান, পেন্ডারপাড়ার শফিকুর রহমানের পুত্র মৌলানা মিজবাহ, মৃত ইসমাইলের পুত্র মাহামুদুল করিম, কেরুনছড়ির আবদুল হাকিমের পুত্র আবদুর রহিম, হাছানের জুম আবদুল কাদেরের পুত্র অলি আহম্মদ, বারবাকিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও সবজীবনপাড়ার মৃত ছাবের আহমদের পুত্র আবদু রহিম, হিরাবুনিয়ার নুরুল আজিমের পুত্র মানিক প্রকাশ কনক, দুধু মিয়ার পুত্র আক্তারকে।

এ দিকে মামলার আসামী দুধু মিয়ার পুত্র আক্তার জানান, আমাকে অন্যায় ভাবে মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমি ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। তাছাড়া আমি ঘটনাটি চুপিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেস্টা করেছি। স্থানীয়রা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন গত মঙ্গলবার রাতে মানবতা বিরোধী জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের হাজ্বি বাজার এলাকায় শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। মিছিল শেষে একটি দোকান ভাংচুর চালায়।

এসময় স্থানীয় যুবলীগ ও জাপা নেতারা বাধাঁ দিতে গিয়ে পাঁচজন আহত হয়। এতে আহত যুবলীগ সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ বাচ্চু, জাপা সমর্থক মোঃ বেলাল উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মফিজুর রহমানকে আটক করে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানান পাঁচজন আহত ও দোকান ভাংচুরের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ধৃত শিবিরের সভাপতিকে গতকাল চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন