পেকুয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পেকুয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে এবার স্ত্রী ও সন্তানরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামীর অব্যহত হুমকি ও প্রাননাশের চেষ্টার অভিযোগ এনে ২য় স্ত্রী গুলচেহের বেগম(৪০)বাদি হয়ে গতকাল ১৪ অক্টোবর পেকুয়া থানায় এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন।

এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও খোদ নিজ ছেলের অভিযোগ দায়ের করার এ খবর জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বাদী গুলচেহের বেগম উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী চাকমারঢুরি এলাকার হাজ্বী মোকতার আহমদের স্ত্রী বলে জানা গেছে। অভিযোগে তিনি স্বামী ছাড়াও তার ১ম স্ত্রীর তিন ছেলেকেও আসামী করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ওই এলাকার মৃত সিরাজুল হকের পুত্র হাজ্বী মোকতার আহমদ একই এলাকার মৃত সবির আহমদের মেয়ে গুলচেহেরকে বিগত ত্রিশ বছর পুর্বে বিবাহ করে।

২য় স্ত্রী হিসেবে তাকে বিয়ে করলেও তার ১ম স্ত্রী শামসুন্নাহার। বিয়ের পর মোকতার আহমদ সৌদি আরবে চলে যায়। এরই মধ্যে দীর্ঘ সময়ে ২য় স্ত্রীর সাথে তার অনেকটা যোগাযোগ ছিলনা। তবে ওই দম্পতির ঘরে জন্ম হয় একমাত্র পুত্র সন্তান আলী আকবরের। গত দু’বছর ধরে হাজ্বী মোকতার আহমদ দেশে অবস্থান করছেন।

স্ত্রীর লিখিত অভিযোগসুত্রে আরো জানা যায় দেশে আসার পর কয়েকমাস ২য় স্ত্রী গুলচেহের বেগমের সাথে সম্পর্ক ঠিক ছিল। সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা চলছে। এরই জের ধরে মোকতার আহমদ গত দু’মাস ধরে তার ২য় স্ত্রীকে বেশ কয়েক দফা মারধর করে আহত করে।

এমনকি গত কয়েকদিন ধরে স্বামী মোকতার ও তার ১ম সংসারের ছেলে জসিম উদ্দিন,আজগর আলী ও ওয়াহিদসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাড়াটে লোকজন গুলচেহেরের পৃথক বসতিতে এসে তাকে ও তার একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাস ফেরত যুবক আলী আকবরকে মারধরসহ হত্য চেষ্টা চালায়।

তবে জানা গেছে এ বিষয়ে পরষ্পর বিরুধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগও হয়েছে। শালিসি একাধিক বৈঠক হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য।

এ ব্যাপারে আলী আকবর জানান আমি দেশে আসার পর থেকে বাবা ও সৎ ভাইরা আমি ও আমার মাকে মারধর করেছে। এমনকি আমি যাতে বিদেশে না যেতে পারি তা নিয়ে বিস্তর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

গুলচেহের বেগম জানান, তিনি স্বামী হয়েও অহেতুক আমাকে নিয়ে মিথ্য অপপ্রচার শুরু করেছে। এ ছাড়া সতীনের ছেলেরা অস্ত্র নিয়ে আমি ও আমার ছেলেকে প্রতিনিয়ত প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি আইনের হস্তক্ষেপ চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে জানতে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন