পেকুয়ায় ৩০ লিটার মদসহ আটক-১

আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পেকুয়ায় থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। ২ সেপ্টম্বর মাদক সম্রাট জসিমকে ১৯লিটার বাংলা মদ সহ তার বসতঘর থেকে আটকের পরও তার ছেলে এমরান স্ত্রী জান্নাত আরা ও শ্যালক শহিদসহ সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেট ওই বাড়ীতেই মদ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।

৬ সেপ্টম্বর দুপুর ১টার দিকে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব, এস.আই বিমল সহ জসিমের বাড়ীর পশ্চিম পাশে তার শ্যালক শহিদের বাড়ীর সামনের রাস্তা থেকে ৩০ লিটার মদ উদ্ধার ও সরবরাহকারী আবদুল কাদের নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।

জানা যায়, আটক আবদুল কাদের চকরিয়া উপজেলার হারবাং সরকারী আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ধৃতব্যক্তি সহ কয়েকজন লোক প্রায় সময় জসিমের বাড়ীতে মদ সরবরাহ করে থাকে। জসিমের ছেলে এমরান স্ত্রী জন্নাত আরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাপ্লাই দিয়ে থাকে। স্থানীয় লোকজন আরো বলেন, জসিম মদ সহ পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর দুদিন মদ বিক্রি বন্ধ ছিল।

৫ সেপ্টম্বর আবারো যথারিতি মদ বিক্রি করা হয়্। পেকুয়া সদরের উত্তর মেহেরনামা মচন্যাকাটা এলাকার লোকজন বলেন, ৬ সেপ্টম্বর সকাল ১১টার দিকে সি.এন.জি যোগে মদ নিয়ে জসিমের বাড়ীর দিকে যাওয়ার সময় একই এলাকার মৃত এন্ডা মিয়ার ছেলে ও মাদক সম্রাট জসিমের শ্যালক শহিদ মদসহ আটক আবদুল কাদেরকে তার বাড়ীর সামনে নামিয়ে আবদুল কাদেরকে ব্যাপক মারধর করে এ মদ স্থানীয় আলাউদ্দিন ও সাংবাদিক আনসারী আনতে বলেছে বলাতে বাধ্য করার চেষ্টাকালে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক লোকজন জড়ো হয়ে শহিদকেসহ মদ সরবরাহকারী কাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখে পেকুয়া থানায় সংবাদ দিলে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব ও এস.আই বিমল ফোর্স নিয়ে গিয়ে মদ সহ কাদেরকে থানায নিয়ে আসে।

এদিকে এলাকার দুজন নিরহ ব্যক্তিকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করার প্রতিবাদে শত শত লোক থানায় এসে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে ও নিরপরাধ সমাজের প্রতিনিধি ব্যক্তিদের যাতে অন্যায়ভাবে কোন ক্ষতি না হয় সেব্যাপারে পুলিশের সহযোগীতা কামনা করেন। এসময় পুলিশের এস.আই বিমল জনগনকে শান্ত থেকে মাদকসহ অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে ও এ ঘটনায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে কোন প্রকার হয়রানি করা হবেনা বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর মাদক বিক্রেতা এমরান ও শহিদ উপজেলার বারবাকিয়া থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এনে এলাকায় মহড়া দিলে এলাকায় আবারো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর এলাকার লোকজন আবারো জড়ো হতে থাকলে অবস্থা বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা কেটে পড়বে এলাকার অবস্থা আবারো স্বাভাবিক হয়।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, এলাকায় যতবড় মাদক বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী হোক না এ অভিযান অব্যাহত রেখে তাদের কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। সকালে মদসহ এক ব্যক্তিকে আটকের সত্যতা স্বীকার করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন