বাঁশের বেড়া আর টিনের চাউনি: কক্ষ সংকটে পাঠদান চলে মাদরাসার বারান্দায়
আলীকদম প্রতিনিধি:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র নয়াপাড়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসা সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানও। বাঁশের বেড়া আর টিনের চাউনি দিয়ে নির্মিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাদরাসাটির প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান চলছে বারান্দায়। নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে অফিস কক্ষসহ ১০টি কক্ষের প্রয়োজন। কিন্তু জরাজীর্ণ ঘরটিতে আছে ৭টি কক্ষ। যার কারণে ২টি শ্রেণি কার্যক্রম মাদ্রাসার বারান্দায় পরিচালনা করতে হচ্ছে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় মাদরাসাটির নিরাপত্তাও বিঘ্নি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মাদরাসা সুপার মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠা থেকে মাদরাসাটি ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ২০১০ থেকে পিডিসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে এ মাদরাসায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ৮ জন শিক্ষক। তিন হাজার টাকার নামেমাত্র মাসিক সম্মানী নিয়ে শিক্ষকরা চাকুরি করছেন। কিন্তু তাও গত ৮ মাস ধরে বকেয়া পড়ে আছে। এর ফলে শিক্ষকরাও রয়েছেন আর্থিক অনটনে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেলেনি প্রয়োজনীয় সরকারি অনুদান। ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া মাসিক ফি থেকেই শিক্ষকদের বেতন চলে। কিন্তু এলাকাটি দরিদ্রপ্রবণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম. কফিল উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন পূর্বে নয়া কমিটি গঠিত হয়েছে। শিক্ষকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ, শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসন ও প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।