বাইশারী-ঈদগাঁও সড়ক এখন মরন ফাঁদ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

1010 copy

বাইশারী (নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাইশারী ঈদগড় ঈদগাঁও সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। পূর্বে ৪ দফা ভয়াবহ বন্যা ও পাহড়ী ঢলে দীর্ঘ ২১ কিলোমিটার পাঁকা সড়কটির অধিকাংশ স্থানে খানা খন্দসহ পাহাড়ী ছড়ায় রূপ ধারণ করেছে। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা শহরে যাওয়ার এক মাত্র মাধ্যম দীর্ঘ ২১ কিলোমিটার এই সড়কের সাথে বর্তমানে সরাসরি মহাসড়কের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ভাঙ্গনের ফলে ৩ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে মহাসড়কে যেতে হয়।

সড়কের মিনিবাস মালিক সমিতির ম্যানেজার ও ইউপি সদস্য মো: শাহাজাহান বলেন, বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় কাঁদা মাটি মাড়িয়ে গাড়ি চলাচল করায় তাদের সমিতির অনেকগাড়ি অকেজো হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশারী, ঈদগড়, গর্জনিয়ার তিন ইউনিয়নের দু’লাখ মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম উক্ত সড়কটি বর্যা মৌসুমের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের পাল পাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, হিমছড়িঢালা, অর্জূনবাগান, ঘুমচাকাটা, বৈধ্যপাড়া, অলিরঝিরি, বেংডেবা, হাজির পাড়াসহ অসংখ্য স্থানে ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। এর ফলে তিন ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করছে। এতে করে মূমুর্ষ রোগীদের কাঁধে বহন অথবা অন্য কৌশল অবলম্বন করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া তিন ইউনিয়নের উৎপাদনশীল দ্রব্য সামগ্রী রাবার ও রবি শষ্য ফল ফলাদি যথা সময়ে বাজারে পৌছাতে না পেরে পঁচন ধরে বলে জানালেন স্থানীয় কৃষক মো: সুলাইমান।

ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো বলেন, ঈদগাঁও ১৩ কিলোমিটার সড়কের জন্য ইতোমধ্যে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়েছে। অচিরেই সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হবে।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন, বিগত দিনে বাইশারী ইদগড় সড়কটি এলজিইডির অধীনে ছিল। এখন সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে চলে গেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবেন বলে জানান।

এবিষয়ে বান্দরবান জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ মো: ইউছুফের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকের নিকট বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি এবং সড়কটি বিগত দিনে এলজিইডির অধীনে ছিল তাই কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন