বান্দরবানে ফল বাগানে সার ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনীর ‘মাঠ দিবস’
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ফল বাগানে সার ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রোয়ংছড়ির উত্তর তারাছা পাড়ায় ফল বাগান পরিদর্শন ও প্রান্তিক কৃষকদের সাথে মত বিনিময় করেন প্রধান অতিথি উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে উত্তর তারাছা ব্লকের হানসামা পাড়ায় চহাইমং মার্মার ফল বাগানে সার ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রোয়াংছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, উপ-সহকারী আল বেলাল, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অংসাজাই, রিটন কান্তি তালুকদারসহ এলাকার কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফল বাগান গুলোতে সুষম সারের ব্যবহার, নির্দিষ্ট সময়ে পরিচর্যা, পানির সেচ ব্যবস্থা ও নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার করছে বলে এর সুফল ভোগ করে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ কারণে জেলার আম, পেপে, লিচু, কলা, কমলা প্রভৃতি ফলের চাহিদা সারাদেশে রয়েছে।
কৃসি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারের সহায়তায় এবং কৃষি বিভাগের তত্বাবধানে পরিচালিত প্রদর্শনী ফল বাগান গুলোর ফলন দেখে আশে পাশের কৃষকগণ ফল বাগান করতে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে।
সভাপতির ভাষণে উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেন, কৃষক-কৃষাণী তাঁদের ফল বাগানে বছরে দুবার পরিমিত পরিমাণে সার প্রয়োগ ও পরিচর্যার মাধ্যমে ফলের মান ও উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
মাঠ দিবসে স্বাগত বক্তব্যে উপ-সহকারী আল বেলাল বলেন, ফল বাগানে জৈব ও বিভিন্ন রাসায়নিক সার সঠিক পরিমাণে প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীর ব্লকের কৃষক চহাই মং মার্মার বাগন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, তার বাগানে জৈব ও বিভিন্ন রাসায়নিক সার কৃষি বিভাগের সহায়তায় প্রয়োগ ও পরিচর্যা করে আম গাছে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে এবং ফল আসার সময়ে প্রয়োজনীয় বালাইনাশক দিলে কাঙ্ক্ষিত ফলনের ব্যাপারে সকলে আশাবাদী।