বান্দরবান জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী

স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবান জেলা আওযামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব পেলেন ইসলাম বেবী। বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কাজি মজিবুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ক্য শৈহ্ল’র সভাপতিত্বে সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, একেএম জাহাঙ্গীর, মংঙোয়ে প্রু চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাংলাই ম্রো, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দৃপ্তি কুমার বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক খ্য সা প্রু, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, অজিত দাশ,কোষাধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান,সদস্য সুচিত্রা তঞ্চঙ্গ্যাসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের শূন্যপদে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মো. ইসলাম বেবীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ইসলাম বেবী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্বরত রয়েছেন।

সভায় বিগত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সুন্দর ও সু-শৃংখলভাবে পালন করার জন্য উদযাপন কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। সভায় আসন্ন সেপটেম্বর মাসকে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করা হয়।

৬ জুন বান্দরবান রাজার মাঠে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে এবং বান্দরবান জেলাকে অচল করার হুমকিদাতা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জেলা আওয়ামীলীগ জরুরী সভায় ২৩ জুলাই সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবুর রহমান’কে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা পরিষদ দুর্নীতি সংক্রান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে ১০ আগস্ট জেলা পরিষদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ পত্র চেয়্যারম্যানের হাতে জমা দেন কাজি মজিবর রহমান।

এর আগে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ৬ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৪৪ দিন তদন্ত করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে দোষী সাব্যস্ত করে রির্পোট প্রকাশ করে। উক্ত বহিস্কার আদেশ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে প্রেরণ করা হয়।

জেলা আওয়ামীলীগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরী জানান, জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে কাজী মজিবের নির্দেশে লাঠিসুটা নিয়ে পদবঞ্চিত নেতা কর্মীরা হামলা চালায়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কাজী মজিবুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন ইসলাম বেবী।

৬ জুন বান্দরবান রাজার মাঠে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ’সহ সহযোগী সংগঠনের ২১জন নেতাকর্মীকে দল থেকে আগে বহিস্কার করা হয়েছে। পরে কাজি মজিবর রহমানের ছোট ভাই ইকবাল করিম তুষারকে পৌর সেচ্ছাসেবকলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।

প্রসঙ্গত: গত ৬জুন জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে বান্দরবানে স্থানীয় রাজারমাঠে লাঠিসুটা নিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এসময় ২০ জন আহত এবং চারটি গাড়ী ভাঙচুর করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা থেকে রেহাই পেতে বান্দরবান জেলাকে অচল করার হুমকি দেয় কাজি মজিব। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন’সহ থানায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় ইসলাম বেবীকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হওয়ায় মোহাম্মদ ইসলাম বেবীকে দায়ীত্ব দেয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ. মহিলালীগ।