ভার্সিটিতে পড়ে পানছড়ির মসজিদের ইমামের দু’সন্তান

fec-image

পানছড়ির হাসান নগর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. নুরুল আমিন মজুমদার একজন গর্বিত পিতা। স্বল্প বেতনের এই ইমামের দু’সন্তান পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে। নিজের কষ্টার্জিত সামান্য আয়ের টাকা দিয়েই কোন রকমে চালিয়ে নেয় দু’সন্তানের পড়ালেখা ও সংসাবের সব ধরণের খরচ।

ইমামতির পাশাপাশি তিনি পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় আলিম শাখার আরবী বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক। এখান থেকে দেড়’দু হাজার টাকা পেলেও নিয়মিত নয় বলে জানালেন।

গণশিক্ষায় পড়িয়ে কিছু পান। সব মিলে মাসে দশ/বার হাজার টাকা মাসিক তার সর্বোচ্চ আয়। এই আয় দিয়েই দু’ছেলেকে ভার্সিটিতে পড়িয়ে তিনি সদা হাস্যেজ্জ্বল সময় পার করেন।

জানা যায়, ইমামের বড় ছেলে মো. ইমরান উদ্দিন (মাহফুজ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিদ্যায় ২য় বর্ষে ও মাশরুফুল আমিন একই বিশ্ব বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ইমরান উদ্দিন (মাহফুজ) ও মাশরুফুল আমিন জানায়, তাদের এতদুর এগিয়ে যাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা বাবার। তাঁর মেধা ও শ্রমের কারণেই এতদুর আসা সম্ভব হয়েছে।

তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশে-পাশেই রুম ভাড়া করে থাকে। তবে বাবার স্বল্প আয়ের টাকা তাই হিসেব করেই চলতে হয় বলে জানালেন।

তাদের গর্বিত পিতা মো. নুরুল আমিন জানান, কষ্ট হলেও ছেলেদের আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলাই আমার মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতে তারা উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন করে দেশের বড় আমলা হলেই আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইমাম, পানছড়ি, ভার্সিটি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন