ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা বাড়ালেন মমতা, সমালোচনায় বিজেপি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (২১ আগস্ট) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিনি এ ঘোষণা দেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি এবং সিপিএম একসাথে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছে। বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘মুসলিমদের তোষণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি ইমাম, পুরোহিতদের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরোহিতদের ৫০০ টাকার দরকার নেই। লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। চাকরি দিতে পারেনি, শিল্প আনতে পারেনি, আমাদের ধর্ম বিপদে আছে। এইসব করে মুসলিমদের তোষণ করা হচ্ছে। ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এর আগে সোমবারেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান থেকে ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং পুরোহিতদের ভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাথে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে তারা লোনের সুবিধা পাবেন বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি।
ইমামরা এতদিন মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। ভাতা বাড়লে এবার থেকে তারা মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন। মোয়াজ্জিনরা দেড় হাজার টাকা করে মাসে ভাতা পেতেন। এবার থেকে তা বেড়ে হবে ২০০০ টাকা। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য ভাতা চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘সামনে ভোট আসছে তাই চালাকি করে ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন মানুষের তা বুঝতে আর কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন।
অন্যদিকে, এর আগের দিন সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সে ক্ষেত্রে তার অভিযোগ, সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি হলো- বাংলার সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অভিযোগ উঠেছে, স্কলারশিপের ক্ষেত্রে অনেক ভুয়া আবেদন জমা পড়েছে। যার ভিত্তিতে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস