মহালছড়িতে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে জ্ঞানোদয় বন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন
মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতাঃ
খাগড়াছড়ি’র মহালছড়ি উপজেলায় ২৫ অক্টোবর শুক্রবার জ্ঞানোদয় বন বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় আডাই হাজার বছর আগে ভগবান গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় মহাপূণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুতা কাটা শুরু করে কাপড় বয়ন, সেলাই ও রং করা সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলেই একে কঠিন চীবর দান হিসেবে অভিহিত করা হয়।
জুমে উৎপাদিত তুলা চড়কার মাধ্যমে সুতা বের করে বেইনের ( কোমর তাঁত) মাধ্যমে কাপড় বুনন, রং ও সেলাই করে চীবর তৈরির পর ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে দান করা হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন হয়। মহাপুণ্যবতী বিশাখার প্রবর্তিত নিয়ম নীতি অনুসরন করে ২৪ অক্টোবর ধর্মপ্রাণ দায়িকারা ৫/৬জন করে দল বেঁধে ১৬টি দলে বিভক্ত হয়ে রাত ১১ টা থেকে সুতা কেটে কাপড় বুনন শুরু করে তার পরের দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর সকাল ১১টার মধ্যে রং ও সেলাই শেষে চীবর তৈরি সম্পন্ন করে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে দান করা হয়।
এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ দায়ক-দায়িকার অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বিহারের শত শত বিহারাধ্যক্ষ, শ্রমণ, প্রবজ্যা ধারী উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সূচী অনুযায়ী বুদ্ধমুর্তিদান, চীবরদান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান সহ বিভিন্ন দানীয় সামগ্রী ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে দান করা ছাড়াও পঞ্চশীল গ্রহন ও ধর্মীয় দেশনা শ্রবণ করা হয়।