মাটিরাঙ্গায় সেতু থাকলেও দুই পাশে মাটি নেই

02.09.2014_Matiranga Bridge NEWS Pic

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ত্রান ও পূনর্বাসন অধিদপ্তরের সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কর্মসুচীর আওয়তায় সেতুর নির্মাণ কাজ এক বছর আগে শেষ হলেও এখনও সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে সরকারের মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয়ে সেতুটি নির্মান করা হলেও সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় সেতুটি জনকল্যাণে কোন ভুমিকা রাখছেনা। এমন অভিযোগ স্থানীয় অধিবাসীসহ জনপ্রতিনিধিদের।

এদিকে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেতুর দুই পাশে এপ্রোচে মাটি ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জামানতের অর্থ ফেরত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের আমবাগান হইতে অযোধ্যা রাস্তায় অযোধ্যা ছড়ার উপর নির্মিত সেতুর পুরো কাজ শেষ না করলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবয়ন কর্মকর্তা মো: জোবায়ের হাসান আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জামানতের টাকা পরিশোধ করেছেন। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনিয়মসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার।

সম্প্রতি সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের আমবাগান হইতে অযোধ্যা রাস্তায় অযোধ্যা ছড়ার উপর নির্মিত সেতুর নির্মান কাজ এক বছর আগে শেষ হলেও ব্রীজের দুই পাশে মাটি ভরাট হয়নি এখনো। ফলে জনগণের কোন প্রয়োজনে আসছেনা সরকারী টাকায় নির্মিত এ ব্রীজটি।

২০১২-১৩ অর্থ বছরে ত্রান ও পূনর্বাসন অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ৩০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এ সেতুর কাজ শেষ না হতেই ১৬ মে ২০১৩ইং তারিখে তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শামছুল হক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক।

এ ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জোবায়ের হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে জামানতের অর্থ ছাড় করার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন। তিনি সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়েছে দাবী করলেও এ প্রতিনিধি তাকে ছবি দেখালে তিনি বলেন মাটি সরে গেছে। জামানতের অর্থ ছাড় করার আগে সেতু পরিদর্শন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের কথা অনুযায়ী জামানতের টাকা দেয়া হয়েছে। তবে তিনি সেতুর দুই পাশে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মাটি ভরাট করবেন বলেও জানান।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঠিকাদার সেতু নির্মান কাজ শেষ করলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে দুই পাশে মাটি ভরাট করেনি। তাদের কেউ কেউ সেতুর সাইড নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, সেতুটি নির্মানের সময় ব্যাপক জনগোষ্ঠির সুবিধার কথা বিবেচনা করা হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন