মাদরাসা সুপার কর্তৃক নিজ মেয়েকে ধর্ষণ: অবশেষে সেই লম্পট পিতার বিরুদ্ধে মামলা

Abu bakkar molobi

মো.আবুল বাশার নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
লম্পট পিতা। একাধিক বিয়ে। নাম তার মৌলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক। নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসায় ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত ১৯৯৯ সনে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলার পর চকরিয়ায় জনরোষে পড়ে জনৈক আয়েশা বেগমকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন আবু বক্কর। সেই ঘরে এক মেয়ে ও দুই ছেলে থাকার পরও ২০০৩ সনে শামসুন্নাহার নামে অপর এক নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন।

কিন্তু এবার নজরে পড়ে তার জন্মদাতা মেয়ের উপর। পিতার লম্পট স্বভাব থেকে রেহাইও পায়নি ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে উম্মে হাবিবা। মানুষরুপী পাষণ্ড পিতা নিজ মেয়েকে একাধিক ধর্ষণ করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় বিদারক প্রথম ঘটনাটি ঘটে, গেল রমজান মাসের দুই দিন পূর্বে তার পিতার বাড়িতে। কিন্তু তখন পিতার কাছে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি কাউকে জানায়নি মেয়েটি। এভাবে রমজান মাসেও একই ঘটনা ঘটে।

অবশেষে গত ০৮ আগস্ট বাধ্য হয়ে মেয়ে উম্মে হাবিবা তার লম্পট পিতার বাড়ি থেকে খালার বাড়িতে চলে যাওয়ার পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয় এবং গত ১৫ আগস্ট ভিকটিম উম্মে হাবিবা নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হাজির হয়ে তার লম্পট পিতার বিরুদ্ধে মামলা করতে এজাহার নামীয় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর উম্মে হাবিবাকে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৌলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- তার বড় স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর উম্মে হাবিবাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজ মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল খায়ের জানান- বাদীর অভিযোগের পর যাচাই বাচাই করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যার নং- ০৭-১৬/০৮/২০১৫ইং। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি জানান।

এদিকে মর্মষ্পষী এ ধরনের ঘটনার পরও একটি মহল গত দুই দিন ধরে জোর তৎপরতার মাধ্যমে অভিযুক্ত মৌলানা আবু বক্করকে বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা মেয়ের মা আয়েশা বেগম।

এদিকে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে ঘটনাটি চাউর হয়েছে উপজেলার সর্বত্র। ছোট-বড় সবার মধ্যে এই মর্মস্পশী ঘটনার আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষিতার পিতা মৌলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক পলাতক রয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সমাজের সচেতন মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে বর্বরোচিত এই ঘটনা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

3 Replies to “মাদরাসা সুপার কর্তৃক নিজ মেয়েকে ধর্ষণ: অবশেষে সেই লম্পট পিতার বিরুদ্ধে মামলা”

  1. কেরেস্তানরা তোমার বন্ধু হতে পারেনা গো, বাংলাদেশের হিন্দু।

  2. দোষ কারো নয় গো মা; আমি স্বখাত-সলিলে ডুবে মরি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন