আস‌তে শুরু ক‌রে‌ছে আম

মা‌টিরাঙ্গায় ফল বাজা‌রে আগুন!

fec-image

চলমান প‌বিত্র মা‌হে রমজান ও গ্রী‌ষ্মের খড়তা‌পে চা‌হিদা‌ বে‌ড়ে‌ছে রসা‌লো ফ‌লের। এসুযো‌গে খাগড়াছ‌ড়ির মাটিরাঙ্গা বাজা‌রে তরমুজ, লেবু, আনারস, ডাব, বেল, বাঙ্গি, কলাসহ নানা প্রকার মৌসু‌মি রসা‌লো ফ‌ল দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যা অ‌নে‌কের ক্রয় ক্ষমতার বা‌হি‌রে। সপ্তাহখানেক আগে তরমুজের দাম স্বাভাবিক থাক‌লেও হঠাৎ গ্রী‌ষ্মের খড়তাপ শুরু হ‌লে অস্বাভা‌বিক দাম বে‌ড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২০ এ‌প্রিল) মাটিরাঙ্গা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ভে‌দে বি‌ভিন্ন ফ‌লের দাম বে‌ড়ে‌ছে প্রায় দুই থে‌কে তিন গুন। তরমুজ আগের তুলনায় তিনগুণ বে‌শি দামে বিক্রি করছেন ব‌্যবসায়ীরা। ‌ব‌্যবসায়ীরা বল‌ছেন, এবছর অগ্রিম বৃ‌ষ্টি হওয়ায় তরমুজসহ অন‌্যান‌্য ফসণ নষ্ট হ‌য়ে গে‌ছে। তাই সরবরাহ কম এবং দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়। ছোট সাইজের ১০০ তরমুজ ৯ হাজার টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ১৮ হাজারের পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন

এদিকে খুচরা একটি ছোট সাইজের তরমুজ ২৫০-৩৫০ টাকা, মাঝারি ৩৫০-৩৮০ টাকা এবং দাম বে‌শি হওয়ায় বড় তরমুজ বাজা‌রে আনা হ‌চ্ছেনা।

পাশাপাশি ডাব, আনারস, বেল, বাঙ্গির চাহিদাও বেশ বাড়ছে। একজোড়া ডাব ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকার ভে‌দে প্রতিটি বেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। আনারস আকার ভেদে প্রতিজোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এছাড়া প্রতিটি বাঙ্গি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ী আলমগীর হো‌সেন বলেন, আমরা না‌টোর থেকে তরমুজ কিনে থাকি। প্রতিটি তরমুজ আগের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয়। এছাড়া পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিক খরচ রয়েছে। তাই মা‌লের পত্তা‌ মি‌লি‌য়ে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

ক্রেতা রা‌কিবুল ইসলাম বলেন, বৈশা‌খের শুরু‌তেই প্রচণ্ড গরম পড়তেছে। ইফতারে লেবুর শরবত ও তরমুজ না হলে ভা‌লো লা‌গেনা। এ জন্য মৌসুমি ফলের দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে।

অন‌্যদি‌কে মধু মা‌সের আগাম বার্তা নি‌য়ে বাজারে আস‌তে শুরু ক‌রে‌ছে গাছ পাকা গু‌টি জা‌তের আম। প্রতি কে‌জি বি‌ক্রি হ‌চ্ছে ১৮০ থে‌কে ২০০ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন