মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী

fec-image

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টারলের গোলা এসে পড়েছিলো বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে। গতকাল রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকায় পর পর দুটো মর্টার শেল পড়ে। একই সময়ে সীমান্তের মিয়ানমার অংশে হেলিকপ্টার টহল দিতেও দেখা যায়। এতে স্থানীয়রা লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতরাতে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দুটো নিরাপদে উদ্ধার করে নিষ্কৃয় করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম। উক্ত গোলাটি নিষ্কৃয় করার সময় কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ৩৫ নং সীমানা পিলারের বাংলাদেশ অংশে গতকাল দুপুরে ভারী মর্টারলে গোলা দুটো পড়ে। প্রথমে তুমব্রু উত্তর পাড়া মসজিদের পাশে পড়া ১২০ মিলিমিটার মটরের গোলা বলে জানা গেছে। এর কিছুক্ষণ পর মসজিদের প্রায় ১০০ গজ দূরে মো. সোলায়মানের ঘরের উঠানে আরো একটি মর্টার শেল পড়ে।

তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মর্টার শেল নিক্ষেপ স্থলে কয়েকশো গজের মধ্যে তুমব্রু ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আরো কিছু দূরে তুমব্রু বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক মসজিদ, বাংলাদেশি মুসলিম ও রাখাইন পাড়া গ্রাম।

স্থানীয় শিক্ষক হামিদুল হক, অভিভাবক আলী আকবর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, যদি ওই দুটো গোলাবারুদ স্কুলে পড়তো তখন কি সাংঘাতিক অবস্থা ঘটত। কারণ ওই সময় স্কুলে ক্লাস চলছিল।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের ছোড়া গোলার স্থানটি তুমব্রু বিজিবি ঘিরে রেখেছিল।

তুমব্রু সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে ওপারে মাঝারি ও ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাগুলি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতদিন পাহাড়ে গোলা ছোঁড়লেও রোববার বাংলাদেশ অভ্যন্তরে উত্তরপাড়ায় মর্টার শেলগুলো পড়েছে। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন।

গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এটা কি কোন দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ বিষয়ে মিয়ানমারকে কঠোরভাবে প্রতিবাদ জানানো হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মর্টার শেল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন