মিয়ানমারের জান্তা সরকার সু চিকে ৫ মামলায় মুক্তি দিলো

fec-image

মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচটি মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার। মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তাকে দায়মুক্তির নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) মিয়ানমার নাউয়ের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) জানিয়েছে, গৌতম বুদ্ধের ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিবছর পালিত এক ধর্মীয় উৎসবের কারণে দেশের প্রায় ৭ হাজার কারাবন্দীকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির অংশ হিসেবে সু চিকেও পাঁচটি মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দাও অং সান সু চিকে মাফ করে দিয়েছেন, যাকে বিভিন্ন মামলায় সংশ্লিষ্ট আদালত দণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।’

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর থেকেই বন্দিজীবন যাপন করছেন অং সান সু চি। তাঁকে দুর্নীতি, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচটি মামলায় দণ্ড মাফ করা হলেও এখনো সু চির বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে।

‘তাঁর কিছু সাজা ক্ষমা করা হলেও তাঁকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাঁকে এখনো ১৪টি মামলার মুখোমুখি হতে হবে। ১৯টি মামলার মধ্যে মাত্র পাঁচটি মামলায় তাঁকে ক্ষমা করা হয়েছে’ বলে জানিয়েছে একটি আইনি সূত্র।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত অভ্যুত্থানে বন্দী হওয়ার পর থেকে সু চিকে মাত্র একবার জনসমক্ষে দেখা গেছে। তাও আবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে। সেদিন জান্তা বাহিনী নির্মিত রাজধানী নেপিডোর একটি আদালতকক্ষ থেকে সু চির তোলা একটি ছবি প্রচার করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো।

সর্বশেষ সু চিকে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের একটি কারাগার থেকে সরিয়ে আবারও নিজ বাড়িতে গৃহবন্দী করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জান্তা সরকার, মিয়ানমার, সু চি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন