মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মায়াবতী থেকে সেনাদের সরিয়ে নিল জান্তা

fec-image

বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের মায়াবতী সীমান্ত এলাকা থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে দেশটির জান্তা। আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) এক মুখপাত্র এবং এক থাই কর্মকর্তা এএফপিকে এসব কথা বলেছেন।

জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনইউ মুখপাত্র পাদোহ সাও তাও নি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে (মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর) ব্যাটালিয়ন ২৭৫-কে পরাস্ত করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ২০০ কিংবা ততোধিক সেনাকে প্রত্যাহার করে একটি সেতুর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই সেতু মায়াবতী শহরকে থাই সীমান্ত শহর মায়ে সোতের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

মায়াবতী শহরটি মিয়ানমার-থাই সীমান্তসংলগ্ন। কয়েক দিন ধরে সেখানে মিয়ানমারের সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন। গতকাল দেখা গেছে, স্থানীয় মানুষের অনেকে থাইল্যান্ডে চলে যেতে সীমান্তে জড়ো হয়েছেন।

থাই সীমান্তে নিযুক্ত এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, গতকাল রাতে মায়াবতী শহরের পতন ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমে কথা বলার এখতিয়ার না থাকায় ওই ব্যক্তি নাম প্রকাশ করেননি।

এএফপি স্বতন্ত্রভাবে কেএনইউর দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। কারণ, এএফপির সাংবাদিকেরা মায়াবতীতে যেতে পারেননি।

এর আগে স্থানীয় বাসিন্দারা এএফপিকে বলেন, গত মঙ্গলবার মায়াবতীর চারপাশে লড়াই শুরু হয়েছে। তবে আজ স্থানীয় লোকজন বলেছেন, গতকাল রাতে কোনো সংঘর্ষের শব্দ তাঁরা পাননি।

মায়াবতীর এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে লড়াই বন্ধ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাসিন্দা বলেন, ‘কেএনইউ এখনো শহরটিতে ঢোকেনি। যদিও আমরা ফেসবুকে প্রকাশ করা খবরে দেখেছি যে তারা স্থানীয় সেনা কমান্ড ২৭৫-কে পাকড়াও করেছে। আমরা এখনো বাড়িতে লুকিয়ে আছি।’

মিয়ানমার-থাই সীমান্তটি জান্তার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, গত এক বছরে মায়াবর্তী সীমান্ত দিয়ে ১১০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক চালান হয়েছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। থাইল্যান্ড বলেছে, সংঘর্ষে বাস্তুচ্যুত হওয়া এক লাখ মানুষকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত তারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জান্তা সরকার, মিয়ানমার, মিয়ানমারের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন