জাতিসংঘ হাইকমিশনার

‘মিয়ানমার জান্তা সরকার ৪০ ত্রাণকর্মীসহ কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিককে হতাহত করেছে’

fec-image

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এই কথা বলেছেন, মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন ত্রাণ সহায়তাকর্মী এবং কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া এক প্রতিবেদনে তুর্ক উল্লেখ করেন, জান্তা সরকার ও বিরোধীদের মধ্যকার সংঘাতের সময় ত্রাণ সহায়তাকর্মীদের ওপর ‘সরাসরি আক্রমণ’ করা হয়েছে। তিনি জানান, এসব কর্মীরা প্রধানত স্থানীয় সংস্থাগুলোর হয়ে কাজ করতেন।

তুর্ক আরও বলেন, এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে’, যাতে ত্রাণ সহায়তায় বাধা দেওয়া যায় এবং ‘কতসংখ্যক মানুষ মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, সে হিসাব আড়ালে রাখা যায়’।

তুর্কের প্রতিবেদন মতে, জান্তা সরকার দেশটিতে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ও আহত করেছে। এ সময় জান্তারা তাঁদের জীবনের বাঁচিয়ে রাখার উপকরণ যেমন—খাদ্য, ঘর, স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রভৃতি ধ্বংস করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভ্যুত্থান–পরবর্তী সংঘাতে দেশটিতে আনুমানিক ১৫ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের শিকার ও ৬০ হাজারের মতো বেসামরিক স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ তথা ১ কোটি ৭৬ লাখের বেশি লোকের কোনো না কোনো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে তুর্ক বলেন বিশ্বাসযোগ্য সূত্রগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৪৭ জন মানুষ নিহত ও ২৩ হাজার ৭৪৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ, এসব সংখ্যা শুধুমাত্র নথিভুক্ত তথ্য থেকে জোগাড় করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জান্তা সরকার, ত্রাণকর্মী, বেসামরিক নাগরিক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন