দাবি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের

রাখাইনে নিষিদ্ধ রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী

fec-image

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনের রামরির ইয়ানবিতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে সামরিক জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

গত অক্টোবরে রাখাইনভিত্তিক আরাকান আর্মি এবং আরও দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের একটি জোট গঠন করে। এরপর সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সম্মলিত হামলা চালানো শুরু করে তারা।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে রামরির আবাসিক এলাকাগুলোতে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালাচ্ছে সামরিক জান্তা এবং সেখানে তারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে।

বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘শহরটি ধ্বংস করার জন্য এক সপ্তাহ ধরে কামান ও বিমান হামলা চালাচ্ছে জান্তা। সেখানে আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের কোনো স্থল লড়াই হচ্ছে না। উপরন্তু সামরিক জান্তা যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। এছাড়া সেখানকার শহরে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চলছে।’

রামরির এক বাসিন্দা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজকে জানিয়েছেন, গত ২৪ জানুয়ারি থেকে থিন থুং পাহাড় এবং পাহাড়ি অঞ্চল কো ইয়ান থতে আরাকান আর্মি ও জান্তার মধ্যে লড়াই হচ্ছে। সেখানে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে জান্তা বাহিনী প্রতিদিন বিমান হামলা চালাচ্ছে। এমনকি তারা নির্বিচারে আবাসিক এলাকাগুলেোতে বোমা ফেলছে।

গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বুচিডংয়ের কায়ার নো ফিন ব্রিজ ক্যাম্পে আরাকান আর্মি ও জান্তার মধ্যে লড়াই শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ লড়াই চলে। এতে অনেক সেনা হতাহত হয়।

ওইদিন দুপুর ২টায় রাখাইনের রাজধানী সিত্তেভিত্তিক ২৩২ নং ও ৩৪৪ নং ইনফ্রেন্টারি ব্যাটালিয়ন মিনবায়ার বিভিন্ন শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কামান ব্যবহার করে হামলা চালায়। ওই সময় মাঠে কাজ করা অবস্থায় শার্পনেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনজন শ্রমিক।

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্ত তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, শনিবার রাখাইনের পাওয়াকতো শহরে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন