সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে

রাখাইনে মুসলিমদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা

fec-image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটির জান্তা সরকার। বিদ্রোহীদের হামলা মোকাবেলায় এখন সেনা সদস্য বাড়াতে চাই দেশটির জান্তা সরকার। এরই মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করতে আশ্রয় শিবির থেকে মুসলিমদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকফিউ শহরের আশ্রয় শিবির থেকে অন্তত ১১৭ জন মুসলিমকে জান্তা সৈন্যরা তুলে নিয়ে গেছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়াউকফিউ শহরের কিয়াউক তা লোন আশ্রয় শিবির থেকে ১১৭ জন মুসলিমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে জান্তার ৫৪২ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের (এলআইবি) সদস্যরা।

শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী পুরুষদের গত ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিয়াউকফিউ শহরের কিয়াউক তা লোন শিবিরটি বাস্তুচ্যুত মুসলিমদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১০৭ জনের তালিকা সংগ্রহ করেছিল জান্তা সৈন্যরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১১৭ জনকে ধরে নিয়ে গেছে তারা। রাখাইনের ওই বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘ঘটনার একদিন আগে শিবিরে এসে ১০৭ জনের তালিকা তৈরি করে জান্তা সৈন্যরা। পরে ১১৭ জনকে তুলে নিয়ে যায়।’’

এদিকে, সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করায় গত কয়েক দিনে কিয়াউক তা লোন শিবিরের অন্তত ১০ তরুণ-তরুণী রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আশ্রয় চেয়েছে।

রাখাইনের ৫৪২ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার উন্না অংয়ের নেতৃত্বে জান্তা সৈন্যরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ধরপাকড় অভিযান শুরু করে। ওই দিন আরাকান আর্মির কাছে আশ্রয় চাওয়া তরুণ-তরুণীদের পরিবারের অন্তত ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বর্তমানে ওই পরিবারের সদস্যরা মুসলিম শরণার্থীদের জন্য খাবার পাঠাচ্ছেন; যাদের ৫৪২তম এলআইবিতে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।

েসে রাখাইনে মুসলিমদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটির জান্তা সরকার। বিদ্রোহীদের হামলা মোকাবেলায় এখন সেনা সদস্য বাড়াতে চাই দেশটির জান্তা সরকার। এরই মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করতে আশ্রয় শিবির থেকে মুসলিমদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকফিউ শহরের আশ্রয় শিবির থেকে অন্তত ১১৭ জন মুসলিমকে জান্তা সৈন্যরা তুলে নিয়ে গেছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়াউকফিউ শহরের কিয়াউক তা লোন আশ্রয় শিবির থেকে ১১৭ জন মুসলিমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে জান্তার ৫৪২ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের (এলআইবি) সদস্যরা।

শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী পুরুষদের গত ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিয়াউকফিউ শহরের কিয়াউক তা লোন শিবিরটি বাস্তুচ্যুত মুসলিমদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১০৭ জনের তালিকা সংগ্রহ করেছিল জান্তা সৈন্যরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১১৭ জনকে ধরে নিয়ে গেছে তারা। রাখাইনের ওই বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘ঘটনার একদিন আগে শিবিরে এসে ১০৭ জনের তালিকা তৈরি করে জান্তা সৈন্যরা। পরে ১১৭ জনকে তুলে নিয়ে যায়।’’

এদিকে, সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করায় গত কয়েক দিনে কিয়াউক তা লোন শিবিরের অন্তত ১০ তরুণ-তরুণী রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আশ্রয় চেয়েছে।

রাখাইনের ৫৪২ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার উন্না অংয়ের নেতৃত্বে জান্তা সৈন্যরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ধরপাকড় অভিযান শুরু করে। ওই দিন আরাকান আর্মির কাছে আশ্রয় চাওয়া তরুণ-তরুণীদের পরিবারের অন্তত ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বর্তমানে ওই পরিবারের সদস্যরা মুসলিম শরণার্থীদের জন্য খাবার পাঠাচ্ছেন; যাদের ৫৪২তম এলআইবিতে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, রাখাইন, সেনাবাহিনী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন