রাঙামাটিতে বৃষ্টি কেড়ে নিলো শ্রমজীবীদের সুখ
রাঙামাটিতে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছে। একদিকে করোনার কারণে তারা প্রায় ৬৭দিনের মতো কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দী ছিলো।
এইবার শনিবার থেকে টাকা বৃষ্টির হওয়ার কারণে এইসব শ্রমজীবী মানুষেরা নিজেদের কর্মযজ্ঞ চালাতে পারছে না। যে কারণে নতুন করে অভাব তাদের ঘরে ঝেঁকে বসেছে। কাজ করতে না পারায় তারা দুর্বিসহ জীবন পার করছে
এদিকে অন্যান্য দিনের ন্যায় মঙ্গলবার (২ জুন) সকাল থেকে রাঙামাটিতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ভারী বর্ষণের কারণে জেলা শহরের সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম চলতে দেখা গেছে। শ্রমজীবী মানুষেরা কাজ-কর্ম ফেলে যে যার মতো অবস্থান করছে। মুখে তাদের হাসি চলে গিছে। দুশ্চিন্তা তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
ঠেলাগাড়ি চালক মো. রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে দুইমাস কোন কাজ করতে পারিনি। সরকার বলেছে ঘরে থাকতে। তাই বউ-বাচ্চা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে ঘরে ছিলাম।
এখন রোববার থেকে সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে বউ-বাচ্চার মুখে আহার তুলে দিতে ঘর থেকে ঠেলা গাড়িটা নিয়ে বের হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আমাদের সুখ কেড়ে নিয়েছে।
ভ্যান চালক আসাদ মিয়া হতাশার কন্ঠে বলেন, আমরা কি করবো? খাবো কি? একদিকে করোনার ভয়। অন্যদিকে বৃষ্টি। কোন কাজ-কর্ম নেই। দৈনিক ভ্যান চালিয়ে আয় করে পরিবার নিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টি সেই আয়ের চাকা বন্ধ করে দিয়েছে।
সবজি বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, আমার কোন দোকান নেই। রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করে সংসার চালায়। গত কয়েক দিনের কারণে ঘরবন্দী। কোন আয়-রোজগার নেই। আমাদের দু:খ আর গেলোনা।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের কর্মকতা মো. হুমায়ন বলেন, সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতে গত ৪ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত রাঙামাটির পুরো জেলায় হয়নি। কোনা কোন জায়গায় হয়েছে। আগামী ২-৩দিন অস্থায়ীভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮.৬মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দু’দিন আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তনের আভাস নেই। তবে সপ্তাহের শেষ বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে যোগ করেন এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।