রাঙামাটির ঘিলাছড়িতে জেপিএসের মাধ্যমে পানির সুবিধা পেল ৪৫ পরিবার

Rangamati NGO Foram pic,2

স্টাফ রিপোর্টার : 

রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৪৫টি সুবিধা বঞ্চিত পরিবারকে প্রাকৃতিগতভাবে জেপিএসের মাধ্যমে পানির সুবিধার করে দিল বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এনজিও ফোরাম। উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের চৈছড়ি গ্রামে সংস্থাটির ৫বছর মেয়াদি প্রগ্রেসিভ প্রকল্পের আওয়তায় পাহাড়ি ঝর্ণার পানি থেকে গ্রাভিটি ফ্লো সিস্টেম (জেপিএস) মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করা হয়।

সোমবার এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ উদ্যোগে রাঙামাটির ঘিলাছড়ির দূর্গম চৈছড়ির অনগ্রসর গ্রামে সবার জন্য পানি ও স্যানিটেশন অধিকার শীর্ষক মিডিয়া অ্যাডভোকেসী ও মাঠ পরিদর্শন কালে এ সব তথ্য জানানো হয়।

এসময় রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান অমর কান্তি চাকমা, এনজিও ফোরামের হেড অ্যাডভোকেসী যোসেফ হালদার, এনজিও ফোরামের নিবার্হী পরিচালক সুচরিতা চাকমা, রাঙামাটি এনজিও ফোরামের প্রকৌশলী রাতুল চাকমা, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, গ্রামবাসী পুলক চাকমা, শান্তি বিনয় চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

এনজিও ফোরামের হেড অ্যাডভোকেসী যোসেফ হালদার জানান, ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের উন্নয়নে কাজ করছে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ রাঙামাটি কার্যালয়। তারাই অংশ হিসেবে ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের চৈছড়ি অনগ্রসর গ্রামে সিভিল সোস বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসিভ রাঙামটি এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর সহযোগীতার মাধ্যমে এ্যানহেন্সিং গভার্নেন্স এণ্ড ক্যাপাসিটি অব সার্ভিস প্রোভাইডার্স এণ্ড সিভিল সোসাইটি ইন ওয়াটার সাপ্লাই এণ্ড স্যানিটেশন সেক্টরের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান অমর কান্তি চাকমা জানান, ঘিলাছড়ির দূর্গম চৈছড়ি এলাকার ভৌগোলিক সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় গত ২০১২-১৩ হতে ২০১৬-১৭ইং অর্থ বছর পর্যন্ত ৪টি খাত যথা যোগাযোগ, কৃষি শিক্ষা, ওয়াটার ও স্যানিটেশন এবং ধমীয় বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যা ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির দ্বারা অনুমোদিত হয়। সরকার কর্তৃক সীমিত বরাদ্দ ও সীমিত সম্পদ এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসিভ এবং এনজিও ফোরামের সহযোগিতার মাধ্যমে নিরাপদ পানি প্রাপ্তি এবং স্যানিটেশন ল্যাট্রিন (প্লাস্টিক ল্যাট্রিন) ব্যবহারের হার আগের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘিলাছড়ি গ্রামবাসী শান্তি বিনয় চাকমা জানান, একটা সময় এ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষগুলো পাহাড়ি কুয়া, ছড়া, ঝর্ণার পানি ব্যবহার করতো। যা স্বাস্থ্যকর ছিলনা। তাছাড়া পানি সরবারহ করাটাই খুবই কষ্টকর ছিল। তবে এনজিও ফোরামের সহায়তায় জেপিএসের মাধ্যমে তারা দৈনন্দিন পানির চাহিদা মিটাতে পারছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন