রামগড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর উদ্বোধন

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি রামগড় স্থল বন্দর উদ্বোধন করেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে খাগড়াছড়ির সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ভার্চুয়ালি রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন।

রামগড় স্থলবন্দর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর এবং দেশের ১৫তম স্থলবন্দর। স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি আন্তর্জাতিকমানের সেতু নিমার্ণ করেছে ভারত। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত এ সেতুটি ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুই-দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ করা হয়।

ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়কে জাইকার তত্ত্বাবধানে ৮টি ব্রিজ ও ৮টি কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় রামগড়ের ফেনীরকূল এলাকায় প্রধান সড়কে রোড লোড স্কেল প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে ।

রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টারর্স রাজ্যগুলো ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের সাথে সড়ক যোগাযোগ তৈরি হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় রামগড় স্থলবন্দর বেনাপোলের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল যেতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু রামগড় চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি রফতানি হয় তা আরও কম সময়ে ও কম খরচে আমদানি করা সম্ভব হবে। যা অর্থনৈতিক বিবেচনায় সারা দেশের জন্য ইতিবাচক। এই স্থলবন্দর ভবিষ্যতে চট্টগ্রামকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরি বলেন, এ বন্দরের সরচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। তারা সহজে ও কম খরচে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের সুবিধা নেবে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও রপ্তানির একটি নতুন দ্বার পাবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সহজে ভারত থেকে পশুসম্পদ, ফল, কাঠ, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, সার ইত্যাদি আমদানি করতে পারবে। সর্বোপরি এ বন্দর বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বয়ে আনবে; বিকশিত হবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য চট্টগ্রাম, রামগড়, স্থলবন্দর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন