রামুতে ২ কলেজ ছাত্রীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

fec-image

কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২ কলেজ ছাত্রীসহ ৩ জনকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ।

বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চা বাগান পাহাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩৫), কক্সবাজার সরকারি কলেজের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সাবেকুন নাহার(২৫) ও একই কলেজে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত জান্নাতুল ফেরদৌস(২৭)। আহতদের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিন উদ্দিন মনু।

হামলাকার শিকার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাড়ির পাশ্ববর্তী ঘেরাবেড়া প্রতিবারের মতো সংস্কার করছিলেন। বুধবার সকালে দুজন শ্রমিক কাজ শুরু করে। এসময় স্থানীয় আনু মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ ও তার ভাইয়েরা এসে কোন কারণ ছাড়াই কাজে বাঁধা দেয়। বাঁধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আমান উল্লাহ ও তার ভাই এবাদুল্লাহ, তৈয়ব উল্লাহ ও এরশাদ উল্লাহ সহ পরিবারের অন্যান্যরা দা, লাঠি-সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে সাইফুল ইসলামকে মারধর শুরু করে। এসময় ভাইকে বাঁচাতে এসে হামলার শিকার হন সাইফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া দুই বোন সাবেকুন নাহার ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

সাইফুল ইসলাম আরো জানান, হামলায় তার বাম পাশের চোখে গুরতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এছাড়া সাবেকুন নাহারের দুটি আঙ্গুল কেটে গেছে। ক্ষতবিক্ষত আঙ্গুলে ৭টি সেলাই দিতে হয়েছে। অপর বোন জান্নাতুল ফেরদৌসকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও তাদের উপর এভাবে কয়েকদফা হামলা চালিয়েছিলো আমান উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা। একের পর এক বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে রামু থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান সাইফুল ইসলাম।

জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স জানান, পথের পাশে ঘেরাবেড়া দেয়ার বিষয় নিয়ে নিরীহ ৩ ভাইবোনকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। যা চরম অন্যায় ও দুঃখজনক। যদি জমি বা চলাচলের পথ নিয়ে কোন সমস্যা থাকলে পরিষদের বা থানায় অভিযোগ দেয়া যেত। কিন্তু তা না করে এভাবে হামলা চালানো বেআইনি। তিনি দুপক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান।

ইউপি সদস্য আমিন উদ্দিন মনু জানান, পবিত্র রমজান মাসে এভাবে একটি পরিবারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। তিনি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে হামলায় ঘটনার অভিযুক্ত আমান উল্লাহ জানিয়েছেন, তাদের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথে সকালে পাঁকা খুটি দিতে শুরু করে সাইফুল ইসলামের শ্রমিকরা। এসময় তিনি পথে খুঁটি না দেয়ার অনুরোধ জানালে সাইফুলের বোনের তার উপর হামলা চালায়। পরে হাতহাতিতে সাইফুল ও তার বোনেরা নিজেরাই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাই মারধর করার বিষয়টি সাজানো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কলেজ ছাত্রী, জখম, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন