রামুর লম্বরীপাড়ায় মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত

fec-image

কক্সবাজারের রামুতে মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে গুরতর আহত মো. তোহিদুল ইসলামকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লম্বরীপাড়া-রাজারকুল রেল সংযোগ সেতুর পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত তৌহিদুল ইসলাম (২৬) লম্বরীপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

এ ঘটনায় আহত তৌহিদের বাবা আবুল কাশেম ঘটনারদিন বৃহস্পতিবার রাতে রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। এজাহারে হামলায় জড়িত ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খোন্দকার পাড়া এলাকার আমান উল্লাহ কালুর ছেলে জাহেদ উল্লাহ, এহেসান উল্লাহ ও মৃত ফারুক আহম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ কালু।

থানায় দেয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাহেদ উল্লাহ দীর্ঘদিন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন করে এলাকার যুব সমাজকে বিপথগামী করে আসছে। বিষয়টি একাধিকবার টের পেয়ে তৌহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে তাদের বাঁধা দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লম্বরীপাড়া-রাজারকুল রেল সংযোগ সেতুর পাশে কৌশলে ইয়াবা সেবন করতে থাকেন জাহেদ উল্লাহ। এসময় তৌহিদুল ইসলাম পুনরায় তাকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার জেরে জাহেদ, তার ভাই এহেসান ও বাবা আমান উল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে তৌহিদকে মারধর শুরু করে। এসময় জাহেদ উল্লাহ ছুরি দিয়ে তৌহিদের মাথায় আঘাত করেন। এছাড়াও হামলাকারীরা তৌহিদকে বেদম প্রহার করে দুই পায়ের হাঁটু ও শরীরের কয়েকটি স্থানে রক্তাক্ত জখম করেন।

মামলার বাদী আবুল কাশেম জানান, হামলা ও ছুরিকাঘাত করার পর তৌহিদকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা তৌহিদকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেতুর পাশে পড়ে থাকতে দেখে এবং উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকাল ১১ টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্ত জাহেদ উল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রামু থানার সেকেন্ড অফিসার আবুল কাওছার জানানা, লিখিত এজাহার পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মাদক, যুবক, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন