রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও সংস্থা ‘এফএইচ’ এ চাকরি করছে ৭ রোহিঙ্গা

fec-image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও সংস্থা এফএইচ (মেডিকেল টিম)-এ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১২’র ব্লক A01তে অবস্থিত এফএইচের Sondor Place Primary Health Center (PHC) নামে হাসপাতালটিতে অসংখ্য রোহিঙ্গা চাকরি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং সেখানে রোহিঙ্গারা চাকরি করছে তার ভিত্তি স্বরূপ প্রমাণ মিলেছে। হাসপাতালটির ফ্যাসিলিটি অফিসারও একজন রোহিঙ্গা বলে সু্ত্র জানায়। যার নাম মোঃ ইয়াসিন ক্যাম্প ১২’র G2 ব্লকে থাকে। তার বেতন মাসে ১৫ হাজার টাকা বলে জানা যায়।

সেই হাসপাতালে মোঃ ইয়াসিনসহ আরো ৬ জন রোহিঙ্গা চাকরি করছে বলে খবর পাওয়া যায়। তন্মধ্যে পোর্টার হিসেবে ৪ জন ও ক্লিনার হিসেবে ২ জন রোহিঙ্গা নারীকে রাখা হয়েছে। মোঃ জুবাইর, মোঃ আনিস, মোঃ হারুন, মোঃ ইয়াকুব আনোয়ার বেগম ও আনোয়ারা। এরা প্রত্যেকেই মাসে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। তারা অনিবন্ধিত ক্যাম্প ১২’র বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা অভিমত ব্যক্ত করেন, এনজিওতে রোহিঙ্গাদের চাকরি দিয়ে স্থানীয় বেকারদের অধিকার ও সুবিধা বঞ্চিত করা হয়েছে। অসংখ্য চাকরি প্রত্যাশীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এনজিও সংস্থাগুলোর প্রতি নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সুত্র মোতাবেক বিষয়টি জরুরিভাবে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নিকট দাবি ও প্রামাণ্য তথ্য অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালটির প্রোগ্রাম অফিসার পারভেজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উক্ত বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমরা সিআইসির বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা কালীন রোহিঙ্গাদের চাকরি না দেয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা পাইনি এবং এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। শুধু রোহিঙ্গাদের সাথে টাকা আদান-প্রদান করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।”

এ বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এনজিওতে রোহিঙ্গাদের চাকরি করা নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে এনজিওগুলো চাকরিতে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারি ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।”

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এনজিও, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন