রোয়াংছড়িতে সমাজসেবা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

R 11.08

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি:

রোয়াংছড়িতে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সমাজসেবা অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে। জানা যায়, নোয়াপতং ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডে খায়াম্রং পাড়া দুর্গম এলাকায় হওয়ায় নমিনী হ্লায়ইনু মারমার নানীর পক্ষ্যে নিজেই ভাতা নিতে এসেছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা শাখা সোনালী ব্যাংকের এ্যাকাউন্টসে ভাতা বই জমা দেন। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার অংবাচিং মারমা এককিস্তি ১ হাজার ২০০ টাকা প্রদান করেন। উত্তোলনকারি হ্লায়ইনু মারমা ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে বলেন, আমরা দু‘কিস্তি পাবো আপনি এক কিস্তি দেলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার বলেন, সমাজসেবা অফিস থেকে যা লেখে দিয়েছে সে অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে।

পরে নোয়াপতং ইউনিয়নে দায়িত্ব প্রাপ্তর ইউনিয়ন সমাজ কর্মী ম্যাছাই মারমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যারা বই নিয়ে আমাদের কাছে আসে তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে। কে নিয়ে গেছে তা আমি কি বলব। আর হবে না বলেই ভাতা বইকে ছুড়ে ফেলে দেন ইউনিয়ন কর্মী ম্যাছাই।

অন্য এক কর্মী মংওয়াইপ্রু মারমা বলেন এ ধরণে হলে নোয়াপতং ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডে ভাতাভোগীদের নমিনী কাউকে টাকা দেয়া হবে না। যারা আসল ভাতাভোগী তাদেরকে দেয়া হবে বলে জানান। নিজেদের দোষ এড়াতে ভাতাভোগীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে নানা রকম দোষ।

এমন ঘটনা আগেও ঘটেছিলো বলে জানা যায়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মীদের অবহেলা করণে সাধারণ জনগণ কষ্ট ভোগ করছে এমন অভিযোগ করেন ভাতাভোগীরা।

ভাতা ভোগীর নমিনী হিসেবে য়ইম্যা মারমা পরির্বতে সানুচিং মারমাও দু‘কিস্তি ভাতা ২ হাজার ৪০০ টার পাওয়ার কথা কিন্তু তার মধ্যে এককিস্তি ১ হাজার ২০০ টাকা পেয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান ম্যাছাই মারমার। শুধু তা নয় লক্ষিচন্দ্র পাড়ায় বয়স্ক ভাতাভোগীর প্রিয়ধন তঞ্চঙ্গ্যার ছোট ভাই জানান, আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডে ২ জনেও দু‘কিস্তি ২ হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে এককিস্তি ১ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে চলে গেছে। ম্যাছাই মারমার তাদের দু‘কিস্তি পাওয়ার কথা বললে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অপব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভাতাভোগীরা।

আলেক্ষ্য ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার যুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যা জানান এ সমস্ত অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা হবে। এ ধরণে অনিয়ম পেলে কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান গত বুধবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবারের নোয়াপতং ইউনিয়ন থেকে ভাতা নিতে আসার ভাতাভোগী সকল নমিনীদের ভাতা না দিয়ে চেয়ারম্যান এবং মেম্বাদের সুপারিশ লাগবে বলে অজুহাত দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে সমাজসেবা অফিসে কর্মকর্তা লিটন মুরীর সাথে মোঠোই ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন