রোয়ানু ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়নে রেডক্রিসেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পেকুয়া প্রতিনিধি:
সম্প্রতি সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা প্রণণয়নের সময় উপকার ভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছেন, রেডক্রিসেন্টের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে এসব তালিকা তৈরীকালে টাকা আদায় নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ভাগবিতন্ডাও হয়। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তা অবগত করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ জুন বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে।

জানাযায়, উজানটিয়া ইউনিয়নে রোয়ানুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করতে আসেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি’ একটি প্রতিনিধি দল। এসময় উজানিটিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সরোজমিনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেন তারা। এসময় তারা এলাকায় অতি ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তাসহ নানান সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে স্ব-স্ব এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ওইসব লোকদের নিকট হইতে প্রতি পরিবার থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করেন।

এসময় এলাকা কিছু সচেতন ব্যক্তি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তাৎক্ষণিকভাবে উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ওই সোসাইটির কর্মরত কিছু লোককে কাগজ পত্রসহ আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পোষাক পরিহিত ৫/৬ জনের একটি দল এলাকায় এসে আমাদের ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন। এসময় আমাদের থেকে পরিাবারের সদস্য সংখ্যা, স্যানিটেশন ব্যাবস্থা আছে কিনা, ক্ষতিগ্রস্থ ঘর বাড়ির সংখ্যা, আয়ের উৎস্য কি এবং অন্য কোন সংস্থ্যা থেকে সহায়তা পেয়েছে কিনা সহ নানা প্রশ্ন করে কর্তৃপক্ষের একটি সুনির্দ্দিষ্ট ফরমে তা লিপিবদ্ধ করেন। তবে সব কিছু জানার পরে তারা বিভিন্ন লোকদের কাছ নিকট উৎকোচ আদায়ের চেষ্টা করেছে বলেও তারা অভিযোগ করেছে। শুধু তাই নয় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে না গিয়ে তাদের একটি মাত্র ওয়ার্ডে গিয়ে কিছু অসাধু লোকদের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়নের উপকাভোগী তালিকা প্রণয়ন করেন। ফলে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, রেডক্রিসেন্টের ভূমিকায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খানকে অবহিত করি। পরে খবর পেয়ে ইউএনও সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যালয়ে তলব করে নিয়ে আসেন।

এব্যাপারে ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান জানান, তালিকা প্রনয়নের বিষটি নিয়ে বেশ কয়েক দিন আগে আমার নিকট একটি চিঠি এসেছিল। তবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সময় সংশ্লিষ্টরা আমাকে অবগত করেনি। আগামী সপ্তাহে রেডক্রিসেন্টের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও ইউপি চেয়াম্যানের  সমঝোতা করে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন