লক্ষ্মীছড়িতে আ’লীগের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর নাটকীয় অস্বীকার

1Kf4Ewm

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আবার নাটকীয়ভাবে প্রত্যাহার করার খবর পাওয়া গেছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাংবাদিকদের কাছে বিলি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন বর্জনের কথা প্রচার করা হলেও রহস্যজনক কারণে পরে তা অস্বীকার করা হয়।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন ব্যাপারী সাংবাদিকদের বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করার খবর সঠিক নয়, কে বা কাহারা এটা প্রচার করেছে তা আমার জানা নাই। তবে এটি অপপ্রচার হিসেবে ছড়িয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। একই কথা বলেন, বর্মাছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিলবর্ণ চাকমা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। প্রেসবার্তা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি তিনি।

এদিকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের ৩ প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা একটি বেসরকারি চ্যানেল, কেয়কটি অনলাইন এবং একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে প্রচার হতে থাকে। ৩ প্রার্থীর স্বাক্ষরিত একটি প্রেসবার্তা এ প্রতিনিধর কাছেও আসে। স্বাক্ষর সম্পর্কে জানতে চাইলে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন ব্যাপারী এ প্রতিনিধির কাছে এটি কম্পিউটারের কারসাজি বলে দাবি করেন।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আওয়ামীলীগের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের লেলিন কুমার চাকমা, ২নং দুল্যাতলী ইউনিয়নের মো. নুরে আলম ও ৩নং বর্মাছড়ি ইউনিয়নের নিলবর্ণ চাকমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলা, এজেন্ট নিয়োগ করতে না পারা, প্রচার ও গণসংযোগে বাঁধাসহ প্রানণাশের হুমকীর বিষয়ে একটি আঞ্চলিক সংগঠনকে দায়ি করে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাংবাদিকদের কাছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিলি করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে বিভিন্ন সংবাদ মিডিয়ায় খবর প্রচার হয়।

এদিকে সকল বিভ্রান্তির অবসান হয় সন্ধায় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মাইকিং প্রচারের মধ্য দিয়ে। তবে বর্জনের খবর লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় দিনভর ছিল নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, প্রেসবার্তার বিষয়টিও আমরা জেনেছি, সঠিক কীনা বলতে পারব না। তবে শেষ খবর হলো নির্বাচন বর্জন কিংবা কেউ প্রচারণা থেকে সরে গেছে এমন কোনো লিখিত কোন কিছু আমাদের কাছে আসে নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন