লামায় উপবৃত্তি নিতে হয়রানির অভিযোগ

অভিযোগ
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামায় উপবৃত্তির টাকা নিতে এসে অভিভাকেরা নানা হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওযা গেছে। উপজেলার ফঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ত্রিশঢেবা জীনামেজু অনাথ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভান্তে উ:নন্দমালা ভিক্ষু হয়রানির এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, তার ৪ জন অনাথ শিশুর উপবৃত্তির টাকা নিতে গিয়ে তিনি কক্সবাজার জেলার মনিটরিং অফিসার (বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) জাহেদুল ইসলাম কর্তৃক হয়রানির শিকার হন। গত বুধবার উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা অংহ্লারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়।

এসময় আশ্রমের পরিচালক ভান্তে উ: নন্দমালা ভিক্ষু তার আশ্রমের ৪ জন এতিম শিশুর উপবৃত্তির টাকা নিতে গেলে একাধিক শিশুর টাকা একই অভিভাবককে দেয়া হবে না বলে মনিটরিং অফিসার জানান। তিনি এক শিশুর টাকা এক অভিভাবককে দিয়ে বাকি ৩ শিশুকে বাদ দেয়ার হুমকি দেন। এতিম শিশুর অভিভাবক না থাকায় আশ্রম প্রধান হিসেবে তাকে টাকা দিতে অনুরোধ করলে মনিটরিং অফিসার ভান্তের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এ ছাড়াও দুর্গম পাহাড়ি ৩০/৪০ কি;মি: দূর-দূরান্ত এলাকার লোকজন উপবৃত্তির টাকা নিতে এসে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তারা রামথুইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইয়াংছাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বনফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা অংহ্লারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বনফুল বাজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মনিটরিং অফিসার জাহেদুল ইসলামের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপবৃত্তি বিতরণের নীতিমালা অনুযায়ী তিনি কাজ করেছেন বলে দাবি করেন।

এতিমের বেলায় কি নীতিমালা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে  নিয়মতান্ত্রিক অভিভাবক প্রয়োজন হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন