শরতের অপরূপ সাজে পানছড়ি

KAS- PIC

পানছড়ি প্রতিনিধি:
বর্ষার জমে থাকা পানিতে পানছড়ির বিভিন্ন জলাশয়ে ফুটেছে হরেক রঙের শাপলা-পদ্ম, ডাঙায় ফোটে জুঁই-শিউলি আর আমনের মাঠে মৃদু হাওয়ায় সবুজ চারার হেলে-ধুলে ন্যুয়ে পড়ার নয়নাভিরাম দৃশ্যগুলো যেন শরতের পরিপূর্ণ রুপমাধুরী।

পানছড়ির শান্তিপুর রাবার ড্যাম, অরণ্য কুটির ও ঝর্ণাটিলা যেমনি সারা বছর দর্শনার্থীদের পদচারণায় থাকে মুখরিত ঠিক তেমনি ঋতুপরিক্রমায় আসা শরৎ ঋতুটিও মন জুড়ানো, প্রান জুড়ানো রূপবৈচিত্রে ভরপুর। বিশেষ করে শরতে ভারত সীমান্ত থেকে পানছড়ির বুক চিরে একে বেঁকে বেয়ে এসে চট্টলার সাম্পান মাঝির কর্নফুলীতে মিলিত হওয়া চেংগী নদীর দু’পাশ আর মাঠে প্রান্তরে তাকালেই দেখা মিলে ফুটে থাকা কাঁশফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মাঠ প্রান্তর আর চেংগীর বিস্তীর্ন দু’পাশ জুড়ে দেখা যায় থোকায় থোকায় কাঁশফুলের দোলা, চেংগীর বহমান পানির হালকা শ্রোত আর সবুজ মাঠে মৃদু হাওয়ায় আমনের শীষ দোল খাওয়ার দৃশ্য মনে বয়ে নিয়ে আসে এক প্রশান্তির ছোঁয়া। তাইতো শরৎ প্রকৃতিকে যেমনি সাজিয়ে তোলে অপরূপ সাজে, তেমনি মানুষের মনেও পৌঁছে দেয় প্রশান্তির ছোঁয়া।

প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বর্ষার পরেই শরৎ। হুট করে একটু রোদ আবার এক পশলা বৃষ্টি, শেষে আবারো রোদ এটাই শরতের নিয়ম। এই শরতের আগমনী বার্তা লগ্নেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে ফিরে আসে সতেজতা। এই শরতের রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরি নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন- “আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই লুকোচুরির খেলা” “নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই- লুকোচুরির খেলা”।

শরতের এসব চোখজুড়ানো, মনমাতানো নীল, সাদা আর সবুজের সাথে একাত্ম হয়ে মাঠে-প্রান্তরে ছুটে বেড়ায় কোমলমতি শিশুরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন