শান রাজ্যের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হারাল জান্তা

fec-image

আরও একটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মিয়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সংগঠন ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। নতুন এ পরাজয়ের মধ্যদিয়ে শান রাজ্যের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হারাল জান্তা।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের লাউক্কাই শহরে জান্তার সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শান রাজ্যে চীন সীমান্তের কাছাকাছি কোকাং স্ব-শাসিত অঞ্চল লাউক্কাই শহরেই ছিল জান্তার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি। ইরাবতি

মূলত জাতিগত তিন সশস্ত্র গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মির (এএ) সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, জান্তা সৈন্যরা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ এমএনডিএএ সৈন্যদের কাছে হস্তান্তর করছে।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে চীন সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে। সেই অপারেশনের অংশ হিসাবেই লাউক্কাই শহরটির দখল নিল বিদ্রোহীরা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জান্তা-চালিত সরকারি অফিস থেকে প্রায় ১ হাজার শাসক সেনা, তাদের পরিবারের সদস্য ও সরকারি কর্মচারীদের উত্তর শান রাজ্যের রাজধানী লাশিওতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জান্তার উত্তর-পূর্ব সামরিক কমান্ডের সদর দপ্তর লাশিওতে অবস্থিত। তবে এই অঞ্চলটিও ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ও অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সৈন্য দিয়ে বেষ্টিত।

এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৫টিতেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এ সময় তারা জান্তাাবাহিনীর কাছ থেকে ১৪২টি সেনা ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। এছাড়া চিন রাজ্যের পালেতওয়ার নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে মিয়ানমারের জাতিগত স্বসস্ত্র গোষ্ঠীর এই সংগঠন।

এছাড়া অপারেশন ১০২৭-শুরুর পর সারাদেশে ৩০০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও ফাঁড়ি এবং ১০ টিরও বেশি শহর আর সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মায়ানমার-চীন বাণিজ্য রুট এবং উত্তর শান রাজ্যে সীমান্ত বাণিজ্য গেট দখলে নেয় তারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন