রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তীব্র ডায়রিয়া বিষয়ে রেডিও সংলাপ:

সচেতনতাই পারে শিশুমৃত্যু রোধ করতে

fec-image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তীব্র ডায়রিয়া পরিস্থিতি, প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও নাফ ৯৯.২ এফএম এবং ডি-ডব্লিউ একাডেমীর আয়োজনে ১৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিস মিলনায়তনে ‘রেডিও সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাধারণ জনগোষ্ঠি, ইমাম, মাঝি, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে রেডিও সংলাপ সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও ডি ডব্লিউ একাডেমীর প্রোগ্রাম অফিসার মাফিয়া মুক্তার সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজারের আঞ্চলিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফখরুল করিম, প্রধান অতিথি ছিলেন -ক্যাম্প ৭’র ইনচার্জ শেখ হাফিজুল ইসলাম।

 সংলাপে ডায়রিয়া বিষয়ে শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন- শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডাঃ আবু তোহা, বিশ্ব স্ব্যাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার ডাঃ উম্মে আসমা আবসারী, ক্যাম্প ৭’র ব্রাকের ডেপুটি টিম লিডার সুভাশ চন্দ্র শীল।

সংলাপে অতিথিরা বলেন- তীব্র ডায়রিয়া কারণে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে, আমাদের একটু সচেতনতায় এই মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।  যা কোন মানুষের ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন বা ততোধিক বার তরল বা পাতলা পায়খানা ও বমি হলে লজ্জা না পেয়ে, গোপন না রেখে, অন্যকে প্রকাশ করতে হবে এবং বিশেষ করে সাবান বা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে হাত ধোঁয়া, খাদ্যদ্রব্য ঢেকে রাখা, খাদ্য সবসময় গরম করে খাওয়া, খাবার ও রান্নার সময় নিরাপদ পানি ব্যবহার করা, অ্যাকোয়াট্যাব না থাকলে পানি ফুঁটিয়ে খাওয়াসহ খাওয়ার আগে, মলমূত্র পরিস্কার করার পরে, শিশুকে খাওয়ানোর আগে, মলত্যাগের পরে, খাবার তৈরি করার আগে সাবান ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে হাত ধোঁয়তে হবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিশেষ করে শিশুকে নিয়ম মেনে শালদুধসহ মায়ের দুধ, স্বাভাবিক খাবার, শিশুর পায়খানা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানায় ফেলা, হামের টিকা দেওয়া, পায়খানা ব্যবহার ও খাওয়ার আগে ও পরে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং জিংক খাওয়াতে হবে।

ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানার কারণে শরীর থেকে লবণ ও পানি জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে শিশু মারাও যায়। তাই বেশি করে তরল খাবার (খাবার স্যালাইন, ভাতের মাড়, বিশুদ্ধ পানি ইত্যাদি), বুকের দুধ ও স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে এবং পাতলা পায়খানা না কমলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সংলাপে পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াশ, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার মতো বিষয়গুলিও আলোকপাত করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ, শিশুমৃত্যু রোধ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন