সনদ জালিয়াতির মামলায় জেল ফেরত সেই সাব-রেজিষ্ট্রার পুনরায় কর্মস্থলে
নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
দুর্ণীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় জেল ফেরত পেকুয়ার সেই সাব-রেজিষ্ট্রার পুনরায় কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। ১৯ অক্টোবর সকালে পেকুয়া উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার হিসাবে সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে এলে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে বরণ করে নেন।
জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি চাকুরী নেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের দায়েরকৃত মামলায় পেকুয়া উপজেলা সাব রেজিস্টার পরিতোষ কুমার দাসকে নিজ কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পেকুয়া উপজেলা সাব রেজিস্টার কার্যালয় থেকে থানা পুলিশের এ এস আই সুমনের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম।
পরে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ ও দুদকের উপ পরিচালক ধৃত সাব রেজিষ্ট্রার কে কোটে প্রেরণ করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেয়। সেই সাব-রেজিষ্ট্রার পরিতোষ কুমার দাশ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। পরে প্রায় একমাস পর সে কর্মস্থলে পুনরায় আসেন।
সাব রেজিষ্ট্রার পরিতোষ কুমার দাশ চলতি বছরের ১৯ মে পেকুয়া উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারের পদে যোগদান করেন। পেকুয়া উপজেলার পাশাপাশি চকরিয়া উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পালন করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারি পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেন ওই দিন জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত পরিতোষ কুমার দাস ১৯৮৫ সালের ২৭ মে মুজিব নগরী কর্মচারী হিসেবে সাব রেজিস্টার পদে মনোনীত হন। তিনি এইচএসসি পাস হলেও সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন এমএসসি পাসের।
ভুয়া তথ্য ও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকুরী করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পরিতোষ চাকরিতে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তখন থেকে ২০১৫ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত বেতন ও ভাতাদি বাবদ ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৬ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এ ব্যাপারে সাব রেজিষ্ট্রার পরিতোষ কুমার দাশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়া বক্তব্য নেওয়া যায়নি।