সীমান্তে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিহত বিজিবির সদস্য নায়েক মিজানুরের লাশ হস্তান্তরের পরেও সীমান্তে উত্তেজনা কমেনি। এখনো সবোর্চ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়া লোকজন এখনো ঘরে ফিরে আসেনি। কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খন্দকার ফরিদ হাসান জানান, রবিবার নিহত বিজিবি সদস্যরের মিজানুরের লাশ পাইনছড়ি বিওপি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি জোন সদরে আনা হয়। স্থানীয়দের ধারনা নায়েক মিজানুরের লাশটি পাইনছড়ি খালের পানিতে ফেলে রেখে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। যার কারণে লাশটিতে পচন ধরে দূর্গন্ধ ছড়িয়েছে।
এদিকে জিরো পয়েন্টের খুব কাছাকাছি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনী বাহিনী ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সীমান্তে টহল জোরদার করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় রাত হলেই লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াত মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, সীমান্তে লোকজনের সাথে কথা বলে তাদের আশ্বাস্ত করেছি বলে জানান।
বিজিবি’র কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খন্দকার ফরিদ হাসান বলেন, এখনও সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে উত্তেজনা রয়েছে। উত্তেজনাকর পয়েন্ গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৫২, ৫০, ৫১সহ কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী মাইন পুতে রাখে । মাইনগুলি বিজিবি ও স্থানীয় জনসাধারনের সহায়তায় মাটিঁ থেকে তুলে নেয়া হয়।