সোনাদিয়া দ্বীপে দুই জলদস্যু গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধ: আহত-৭

fec-image

বন্দুকযুদ্ধ

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীর প্রবল দ্বীপ সোনাদিয়ার ২টি জল দস্যু গ্রুপ অস্ত্রের মহড়া গত এক সাপ্তাহ ধরে চলে আসছিল। এক পক্ষকে অপর পক্ষ ঘায়েল করার জন্যই এই মহড়া বলে জানা যায়। অবশেষে সোমবার সকাল ১১ টায় সোনাদিয়া দ্বীপের আলোচিত জলদস্যু বাহিনীর সরওয়ার উদ্দিন বত্যলা ও স্থানীয় মেম্বার নাগুর ছেলে নকিবের নেতৃত্বে একদল পেশাদার জলদস্যু।

মুলত এই ২ গ্রুপের সাগরে জলদস্যুতার নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ফলে সাধারণ জেলেদের জন্য সাগর সব সময় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সোমবার সকালে বতল্যা বাহিনীর একদল অস্ত্রধারী জলদস্যু পুর্বের প্রতিষোদ নেওয়ার জন্য নাগুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ৭জন গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

তবে পুলিশ বলছে তাদের জানা মতে আহতের সংখ্যা ৪জন এদের মধ্যে বতল্যা বাহিনীর প্রধান বতল্যা গুরুতর আহত হয়েছে। পুলিশ যাওয়ার আগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কারনে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আহতরা হলেন, তালিকা ভুক্ত জলদস্যু সরওয়ার উদ্দিন বতল্যা (৪০), আনজু ডাকাত (৩৪), ফারুক(২৯), নাগুর পুত্র নকিব বাহিনীর প্রধান নকিব (২৮)সহ ৭জন গুরুতর আহত হয়েছে। এদিকে আহতরা সবাই মামলার আসামী হওয়ার কারণে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

কুতুবজুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সোনাদিয়ার এমইউপি আব্দুল গফুর নাগু অভিযোগ করে বলেন, বতল্যা ও জাম্মুর নেতৃত্বে পুর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও বাড়িঘর লুটপাট করছে। মুলত সোনাদিয়ারকে অশান্ত করতে এই জলদস্যু গুলি রিতিমত সাধারণ জেলেদের উপর নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এদের গ্রেফতারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন খোকন জানান, সোনাদিয়া জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রন করতে হলে দাগী ও তালিকাভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমরা অপরাধিদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে সব সময় সহযোগিতা করতে প্র¯ু‘ত রয়েছি।

মহেশখালী থান্রা ওসি বাবুল চন্দ্র বনিক জানান, দুুপুর ১২ টা নাগাদ সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করি, সাগর ঘেরা হওয়ার কারনে জলদস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তবে আমাদের পক্ষ থেকে জলদস্যুদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপর দিকে মহেশখালী বাসীর প্রানের দাবী সোনদিয়া চ্যানেলকে জলদস্যু মুক্ত করতে সোনাদিয়া একটি কোস্টগার্ডের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। এই ক্যাম্পটি হলে মহেশখালীর জেলে সম্প্রাদয় নিরাপথে সাগরে মাছ আহরন করতে আর কোন বাধা থাকবেনা ফলে জলদস্যু মুক্ত হবে মহেশখালী তথা সোনাদিয়া চ্যানেল সহ পুরো সাগর।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন